Milk Bath

জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই ত্বকের জেল্লা উধাও, স্নানের পদ্ধতিতে বদল এনে দেখুন

শীতের মরসুমে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। শুধু মুখ নয়, শুষ্ক হয়ে পড়ে হাত-পায়ের ত্বক। এমন সময় মিনিট ১৫ দুধ-স্নান করলেই কিন্তু ফিরতে পারে ত্বকের জেল্লা। কী ভাবে, কোন দুধ দিয়ে স্নান করবেন জেনে নিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০০
Share:

স্নানেই ফিরবে ত্বকের জেল্লা। ছবি: ফ্রিপিক।

কারও ত্বক বছরভরই শুষ্ক, কারও ত্বক আবার শীত পড়লেই জেল্লা হারায়। এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। যার প্রভাব পড়ে ত্বকে। শুধু মুখ নয়, নিয়মিত পরিচর্যা না করলে গা, হাত-পায়ে খড়িও ফোটে। যা দেখতে অত্যন্ত বিশ্রী লাগে।

Advertisement

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং জরুরি। কিন্তু সে সব তো মুখের জন্য করেন। হাত-পায়ের বিশেষ যত্ন নেন কি?

শীতের মরসুমে ত্বক আর্দ্র রাখতে, জেল্লা ফিরিয়ে আনতে শুধু মুখে, গায়ে ক্রিম না মেখে বদলে ফেলতে পারেন স্নানের পদ্ধতিও।

Advertisement

প্রাচীন কাল থেকে রূপচর্চায় দুধ, কেশর, গোলাপের ব্যবহার হয়ে আসছে। তারই কয়েকটি উপকরণে যদি আপনিও স্নান করতে পারেন, তা হলে ত্বক হবে পেলব, সুন্দর। মুখে ছড়িয়ে যাবে দীপ্তি।

দুধ-স্নানের উপকারিতা

এক্সফোলিয়েশন: দুধে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা এক ধরনের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড। এই উপাদান ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। মৃদু এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে।

আর্দ্রতা: দুধে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ। ভিটামিন এ, ডি, বি ১২ ত্বককে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগাতে ময়েশ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে। এতে থাকা রেটিনল আসলে ভিটামিন এ-র একটি উপাদান। যা ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মুখে বলিরেখা পড়ার গতিও শ্লথ করে।

ত্বক টানটান রাখে: বয়সজনিত কারণে কোষ নষ্ট হওয়া রুখতে পারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। দুধের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। দুধে থাকা প্রোটিন ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করে।

কসমেটোলজিস্ট করুণা মলহোত্র বলছেন, গরুর দুধ, নারকেলের দুধ, ছাগলের দুধ — যে কোনও দুধই স্নানের জন্য ব্যবহার করা যায়।

কী ভাবে স্নানের জন্য দুধ ব্যবহার করবেন?

১. বাথটাব এই ধরনের স্নানের জন্য উপযোগী। তবে তা না থাকলে বালতির জলেই দুধ মিশিয়ে নিন। ঈষদুষ্ণ জল এ জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কখনওই গরম জল নয়।

২. এক বালতি জলে ২ কাপ দুধ দিতে পারেন। বাথটাবে স্নান করলে এমন অনুপাতে দুধ ব্যবহার করতে হবে।

৩. চাইলে স্নানের জলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। মধু ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে, ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ময়েশ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে।

৪. অন্তত ১৫-২০ মিনিট দুধ-জলে শরীর ডুবিয়ে রাখলে তা ত্বকের পক্ষে ভাল। বাথটাব না থাকলে বালতির দুধ-জলে সময় নিয়ে স্নান করুন।

৫. স্নানের পর নরম তোয়ালে দিয়ে গা মুছে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement