টম্যাটোর গুণেই চুল হবে ঘন, সুন্দর। ছবি: সংগৃহীত।
কষা মাংস হোক বা মাছের কালিয়া, স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে কয়েক টুকরো টম্যাটো। মুখের কালচে ভাব দূর করতেও সব্জিটি বেশ কাজের। কিন্তু মাথাতেও কি মাখা যায় এটি?
ভিটামিন এ, সি, এবং কে রয়েছে টম্যাটোয়। রয়েছে নানা প্রকার খনিজও। এতে রয়েছে লাইকোপেনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। চুল, ত্বক ভাল রাখার জন্য যা জরুরি।
টম্যাটোয় থাকা এ এবং সি ভিটামিন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বকের চিকিৎসক বলছেন, টম্যাটোয় থাকা ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যাসিড জাতীয় উপাদান খুশকি দূর করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুল পড়া রোধ করে।
খাবেন না মাখবেন?
ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর টম্যাটোর পুষ্টিগুণ অনেক। ত্বক এবং চুল ভাল রাখতে পরিচর্যা যেমন জরুরি, তেমনই দরকার পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। কিডনি বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা না থাকলে টম্যাটো খাওয়ায় বিধি-নিষেধ থাকে না। টম্যাটো শরীর ভাল রাখাতে সাহায্য করে।
চুলে কী ভাবে মাখবেন?
চুলের জন্য টম্যাটোর মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
টম্যাটো এবং দইয়ের মাস্ক: অর্ধেক টম্যাটো এবং ২ টেবিল চামচ টক দই ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বক এবং চুলে মিনিট ১৫ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টম্যাটো এবং অলিভ অয়েল মাস্ক: একটি ছোট টম্যাটো বেটে নিয়ে তার মধ্যে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। সমগ্র মিশ্রণটি পরিষ্কার চুলে ভাল করে লাগিয়ে হালকা হাতে মিনিট পাঁচেক মালিশ করুন। মিনিট ১৫-২০ বাদে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তার পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। রুক্ষ চুল নরম হবে এতে।
টম্যাটো এবং ডিম: টম্যাটো বাটার সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ ভাল করে মিশিয়ে নিন। সমগ্র মিশ্রণটি মাথার ত্বক থেকে চুলে মেখে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। তার পর চুল ধুয়ে নিন। ব্যবহার করুন মৃদু শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার।
টম্যাটোয় কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুলে মাখার আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া দরকার।