ব্যস্ত মায়েরা কী ভাবে সাজিয়ে তুলবেন নিজেকে? ছবি: ফ্রিপিক।
সংসার, অফিস, তার উপর খুদে সদস্যটির দেখভাল। এত কাজের মধ্যে নিজের যত্নের কথা ভুলতেই বসেন নতুন মায়েরা। সারা দিনের পর ত্বকের যত্ন কী করবেন, মনে হয় কখন শরীর এলিয়ে দেবেন বিছানায়।
দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে ত্বক জেল্লা হারাবে, চুল রুক্ষ হবে, এমনকি চুল ঝরার সমস্যাও বাড়তে পারে। তা ছাড়া কাজের সূত্রে বাইরে বেরোতে হলে নিজেকে ফিটফাট রাখাও জরুরি।
কিন্তু কী ভাবে স্বল্প সময়ে নিজেকে সুন্দর করে তুলবেন ব্যস্ত মায়েরা?
নিয়মিত পরিচর্যা
ঘড়ি ধরে অনেকটা সময় দেওয়া না গেলেও দিনের শেষে কাজ থেকে ফিরে মুখ কিন্তু পরিষ্কার করতেই হবে। বাইরে থেকে এসে শিশুদের কাছে যেতে হলে স্নান করা বা গা, হাত-পা খুব ভাল করে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক। সেই সময় চট করে মুখটা মৃদু কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। সন্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন। তার পর টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় বড়জোর ১০ মিনিট সময় ব্যয় হবে। নিয়মিত এটুকু করতে পারলেই ত্বক ভাল থাকবে।
সানস্ক্রিন
বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখতে ভুললে চলবে না। সূর্যের ক্ষতিকর বেগনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক শুধু কালচেই নয়, রুক্ষও হয়ে যায়। এমনকি রান্না করার আগেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
মেকআপ
অফিসে বা কর্মক্ষেত্রে বেরোনোর আগে হালকা মেকআপ করে নিলে দেখতে ভাল লাগবে। ৫ মিনিটেই কিন্তু সেজে নেওয়া যায়। প্রথমেই মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন। তার পর মুখের খুঁত, চোখের কালি কনসিলার দিয়ে ঢেকে ফেলুন। এর পর ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন কিংবা বিবি ক্রিম। সবশেষে একটু পাউডার বুলিয়ে, ভ্রু এঁকে, কাজল টেনে দিলেই সাজ সারা। ঠোঁটে লিপস্টিক বা লিপবাম দিতে ভুলবেন না যেন।
তেল মালিশ
সপ্তাহে অন্তত এক দিন মিনিট দশেক ঈষদুষ্ণ নারকেল তেল, অলিভ অয়েল অথবা কাঠবাদামের তেল মালিশ করলেও চুল ভাল থাকবে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। রুক্ষ চুল নরম হয়। আধ ঘণ্টা মাথায় তেল রেখে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেই হবে।
ড্রাই শ্যাম্পু
ব্যস্ত মায়েদের সকাল শুরু হয় অতি ব্যস্ততায়। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে স্নানের সময় চট করে হয় না। এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। অফিসে কোনও মিটিং আছে বা কোথাও যাওয়ার আছে, এ দিকে শ্যাম্পু করার সুযোগ নেই। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই হল। এতে তেলচিটে চুল শ্যাম্পু করার মতোই সুন্দর হয়ে উঠবে।
জল খাওয়া জরুরি
শুধু শরীর ভাল রাখতে নয়, ত্বক এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখতেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের কম করে ২ লিটার জল খাওয়া দরকার। সারা দিনে বার বার জল খেতে ইচ্ছা না হলে স্যুপ, ফলও খাওয়া যেতে পারে। তবে কার্বনযুক্ত পানীয় বা শর্করাযুক্ত পানীয় নয়।
শরীরচর্চা
সুস্থ থাকার জন্য এবং ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধির জন্য শরীরচর্চাও জরুরি। ব্যস্ততার মধ্যেও যদি মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটাহাটি বা প্রাণায়ামের জন্য রাখা হয় শরীর এবং ত্বক দুই-ই ভাল থাকবে।