যে সমস্ত মহিলা গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিকতম একটি গবেষণা বলছে, গর্ভনিরোধক বড়ি কমাতে পারে ব্রণের সমস্যা। গর্ভনিরোধক বড়িতে রয়েছে এক ধরনের সিন্থেটিক হরমোন, যা সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের ওষুধে উপস্থিত হরমোন ব্রণ প্রতিরোধের অন্যতম অস্ত্র।
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মহিলা গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। জন্মনিয়ন্ত্রক বড়িগুলি ব্রণর কারণে ত্বকে জ্বালা ভাব, ক্ষত নিরাময় করতেও সাহায্য করে। এই সব কিছু সম্ভব হয় এই ওষুধগুলিতে থাকা বিশেষ হরমোনের কারণেই।
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধগুলি কী ভাবে ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে তা জানার জন্য প্রথমে মহিলাদের হরমোন সিস্টেম বুঝতে হবে।
এই ধরনের ওষুধে উপস্থিত হরমোন ব্রণ প্রতিরোধের অন্যতম অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি একটি হরমোন নিঃসরণ করে, যেটি ডিম্বাশয়কে ডিমের বিকাশ শুরু করার সঙ্কেত দেয়। এই ডিমগুলি তখন ডিম্বস্ফোটন করে। এবং ডিম্বাশয় প্রোজেস্টেরন হরমোন নিঃসরণ করে। আবার ঋতুস্রাব চলকালীন এই একই চক্র আবর্তিত হতে থাকে। ত্বকের স্বাস্থ্য কেমন থাকবে তা নির্ভর করে হরমোনের ক্রিয়াকলাপের উপর। শরীরে হরমোনের সরবরাহ ঠিক মতো হলে ত্বকও ভাল থাকে। এই কারণে ডিম্বস্ফোটনের সময় হরমোন ক্ষরণ বেশি হয় বলে, এই সময় ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। ঋতুস্রাবের আগে ব্রণ, র্যাশের মতো যে সমস্যাগুলি দেখা দেয় তা আসলে হরমোনের হ্রাসের কারণে হয়। জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধেও ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন দুই-ই থাকে। ফলে এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার সময় শরীরে হরমোনের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে।