হলুদ-দুধেই সারবে ব্রণ? ছবি: ফ্রিপিক।
মুখময় ব্রণ কখনও কমে আবার বাড়ে। কিন্তু পুরোপুরি যায় না। এমন সমস্যায় নাজেহাল অনেকে। রকমারি প্রসাধনী, ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগেও ফল না মিললে, একবার মেখে দেখুন দুধ-হলুদ।
গায়ে ব্যথা হোক বা জ্বর জ্বর ভাব, গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চল বহু দিনের। দুধ সুষম খাদ্যের তালিকায় পড়ে। হেঁশেলে মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হলুদে রয়েছে ভেষজ গুণ। কেউ কেউ বলেন, হলুদ মেশানো দুধ খেলে শুধু গায়ে ব্যথা বা ছোটখাটো সংক্রমণ সারে না। ঘুমও ভাল হয়।
কিন্তু দুধ-হলুদ কি ব্রণের সমস্যাও মেটাতে পারে?
হলুদে থাকে কারকিউমিন। কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। কেউ কেউ বলেন, হলুদ মেশানো দুধ শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। সংক্রমণ দূর করতে, ব্রণ কমাতেও সহায়ক হলুদ।
হলুদ-দুধ খাবেন না মাখবেন?
শরীর যদি ভিতর থেকে সুস্থ থাকে, তার প্রভাব ত্বকেও পড়ে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ত্বক ভাল রাখতে পুষ্টিকর খাওয়া জরুরি। শুধু ব্রণ সারাতে বা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেই প্রতি দিন চুমুক দিতে পারেন হলুদ মেশানো দুধে। এক গ্লাস বা এক কাপ হালকা গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, এক চা-চামচ মধু এবং সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে তা প্রতি দিন একবার করে খেতে হবে। তবে অনেকের গরুর দুধ সহ্য হয় না। সে ক্ষেত্রে কাঠাবাদামের দুধ বা সয়াবিনের দুধও খেতে পারেন।
ব্রণ সারাবে দুধ-হলুদ!
ব্রণের সমস্যা মেটাতে ত্বকের যত্ন জরুরি। নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করাটা আবশ্যিক। পাশাপাশি মুখের মাস্ক ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করে। ব্রণ সারাতে, মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা হলুদ এবং দুধ। কাঁচা হলুদ বেটে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে মাখলে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। রোদা পোড়া কালচে ভাব দূর করে, মুখের জেল্লা ফেরাতেও কাজে আসবে প্যাকটি। পুরো মুখে মেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন।