নামীদামি প্রসাধনী নয়, ত্বককে যত্নে রাখতে পারে জলও। ছবি:ফ্রিপিক।
পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা বলেন প্রতি দিন মাপমতো জল খাওয়া দরকার। এতে শরীর ভাল থাকে। তবে শুধু শরীর নয়, ত্বক তরতাজা রাখতেও জরুরি হল জল। মুখে এটা-সেটা, যা-ই মাখুন না কেন, পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুলেও কিন্তু ত্বক ভাল থাকে। বরফ-জলে ত্বকের চর্চা নতুন নয়। আবার জলীয় বাষ্প দিয়েও রূপচর্চার প্রচলন রয়েছে।
কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেয় জল?
শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য, শরীরে বিপাকক্রিয়ার ফলে তৈরি দূষিত পদার্থ বার করে দেওয়া-সহ নানা কাজে জলের প্রয়োজন। হার্ট, কিডনি বা অন্য কোনও অসুখ না থাকলে চিকিৎসকেরা পরিমাণ মতো জল খেতে বলেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বলছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ পুরুষের দিনে অন্তত ৩ লিটার এবং মহিলাদের ২ লিটার জল খাওয়া উচিত।
উপকারিতা
ত্বকে পিএইচ-এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে জল। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শুষ্ক ভাব দূর হয়। ত্বকে জেল্লা ফেরে। অকালে বলিরেখা আটকাতে চোখ, মুখের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে জল।
কী ভাবে জল ব্যবহার করবেন?
বাইরে থেকে ঘুরে এসে পরিষ্কার জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে ত্বকের যত্নে নানা ভাবে জলের ব্যবহার হয়। কেউ বরফ-জল ব্যবহার করেন, কেউ আবার বাষ্পাকারে। তবে জল দিয়ে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে জলের তাপমাত্রা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
খুব ঠান্ডা জলে মুখ পরিষ্কারের সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনই কিছু অসুবিধাও আছে। একই কথা প্রযোজ্য উষ্ণ জল বা বাষ্পের ক্ষেত্রে। তবে নিয়মিত জলের ব্যবহারে মুখ ধুতে হলে ঈষদুষ্ণ বা ঘরের তাপমাত্রার জলই ভাল।
বার বার মুখ ধুতে হবে?
মুখে ধুলো থাকলে বা ঘেমে গেলে অবশ্যই মুখ ধুয়ে নেওয়া যায়। তবে খুব বেশি জল দিয়ে মুখ ধোয়াও ভাল নয়। ভাল হয়, সকাল এবং রাতে দু’বার মুখ ধুয়ে নিলে।
পদ্ধতি
মুখে মেকআপ থাকলে রিমুভার দিয়ে তা তুলে ফেলতে হবে।
ধুলোময়লা লেগে থাকলে মৃদু ক্লিনজ়ার ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে এক্সফোলিয়েশন জরুরি।
কোন জল থেকে সাবধান?
ত্বক ভাল রাখার জন্য মুখ ধুতে গেলে জল নিয়েও সাবধানতা জরুরি। দূষিত জল, অতিরিক্ত খনিজ যুক্ত জল বাদ দেওয়াই ভাল। জলের মধ্যে অনেক সময় অণুজীব মিশে থাকে, জল খাওয়াই হোক বা মুখ ধোয়া— এ ধরনের জল বিপজ্জনক হতে পারে।