কফি মেশানো জলের গুণেই বাড়বে চুলের জেল্লা। কিন্তু কী ভাবে তা মাখবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
অলস দিনে স্নায়ুকে নিমেষে চাঙ্গা করতে পারে এক কাপ কফি। আবার এই কফির গুণেই ফেরানো যায় মুখের জৌলুস। তবে শুধু ত্বক নয়, সঠিক কলাকৌশল জানলে কফি দিয়ে কেশচর্চাও সম্ভব।
উপকারিতা
১. কফির মধ্যে থাকা ক্যাফিন মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া মজবুত রাখে। ফলে সহজে চুল পড়ে যায় না।
২. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ কফি চুলে পুষ্টিও জোগায়। দূষণের ফলে চুলের যে ক্ষতি হয় তা থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে এই উপাদান।
৩. চুল পড়ার জন্য দায়ী ডিহাইড্রো টেস্টোসটেরন হরমোনের ক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে কফি। পাশাপাশি কফির গুণে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়।
কী ভাবে তৈরি করবেন কফির জল?
চুলের যত্নে কফি দিয়ে নানা রকম মাস্ক ব্যবহারের চল আছে। তবে তার জন্য বাড়তি সময়ও দরকার হয়। সে ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কফির জল।
উপকরণ:
এক কাপ কালো কফি
২ কাপ জল
১-২ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল
পদ্ধতি
এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ কালো কফি মিশিয়ে নিন। জল যত ক্ষণ না ঘরের তাপমাত্রায় আসছে, তত ক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
তবে কালো কফি সারসরি চুলে দেওয়া যাবে না। এক কাপ কফির দু’কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে চুল চটচটে হবে না।
মিশিয়ে নিতে হবে কয়েক ফোঁটা এসেনিশয়াল অয়েল। এই তালিকায় পিপারমেন্ট, রোজ়মেরি, ল্যাভেন্ডার যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যায়। তবে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করে দেখে নেওয়া ভাল, কোনওটিতে অ্যালার্জি রয়েছে কি না।
ব্যবহার বিধি
শ্যাম্পু করার পর বা পরিষ্কার চুলেই এটি ব্যবহার করতে হবে। মাথার ত্বক থেকে চুল ভাল করে কফি মেশানো জল দিয়ে ধুতে হবে। ভাল ফলে পেতে, জল মাথায় দেওয়ার পর হালকা হাতে মাসাজ করতে পারেন। তবে চুল ওঠার সমস্যা থাকলে বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না। কফি মেশানো জল মাথায় মাসাজ করার পর ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। তার পর মৃদু কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
কত দিন অন্তর ব্যবহার
সপ্তাহে এক বা দু’দিন এটি ব্যবহার করা যায়। ধারাবাহিক ব্যবহারের চুলের সৌন্দর্য বেড়ে উঠবে।
সতর্কতা: কফি বা ক্যাফিনে যদি কারও অ্যালার্জি হয়, বা মাখার পর মাথা চুলকায় তা হলে এটি বাদ দিতে হবে।