ত্বক অত্যধিক পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে এমন হয়। প্রতীকী ছবি।
বাতাসে শীতের আমেজ। একটু একটু করে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। হালকা গরম জামা না চাপালে একটু শীত অনুভূত হচ্ছে। এই সময়ে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফেটে যাওয়া তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে দোসর হয় ত্বকের চুলকানি। মূলত ত্বক অত্যধিক পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে এমন হয়। ঠান্ডার সময়ে বাতাসের জলীয় ভাব কমে যায়, জলও একটু কম খাওয়া হয়। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। তার উপর যদি চা, কফি, মদের মতো পানীয় বেশি খাওয়া হয়, শরীর থেকে বেশি জল বেরিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। ত্বকের আর্দ্রতাও কমতে থাকে। তেল, ক্রিম মেখে তা সামলাতে না পারলে শুরু হয় চুলকানি।
ত্বকের আর্দ্রতাও কমতে থাকে। প্রতীকী ছবি।
শীতকালীন চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পেতে কোন বিষয়গুলিতে নজর দেবেন?
১) শীতকাল এলেই বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। শীতকালে টুকটাক চিপ্স, ভাজাভুজি খেতে মন চায়। যার ফলে বাড়ির খাবারের ইচ্ছা ও খিদে দুই–ই মরে যায়। ফলে শরীর তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারাতে থাকে। তাতেই দেখা দেয় চুলকানির সমস্যা। সুস্থ থাকতে ভাজাভুজি কম খান৷ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান৷
২) উল বা গরম কাপড়ে চুলকানি বাড়লে সুতির জামার উপর গরম জামা পরুন। সুগন্ধে অ্যালার্জি থাকলে মৃদু গন্ধের বা গন্ধহীন সাবান মাখুন। স্নানের পর ভেজা গায়ে লাগান গন্ধহীন নারকেল তেল৷ তার পর এক মগ জল ঢেলে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে মুছে নিন, ত্বকের আর্দ্রতা বেশি ক্ষণ বজায় থাকবে। দূরে থাকবে চুলকানি। ময়েশ্চারাইজারও লাগাতে পারেন।
৩) শীতকালে গরম জলে স্নান মানে ত্বক আরও শুকিয়ে যাওয়া। গোটা শীতকাল জুড়ে অনেকেই গরমজলে স্নান করেন। এর ফলে ত্বকের রুক্ষ ভাব বেড়ে দ্বিগুণ হয়। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ায় চুলকানির মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়।