রোম তোলার পরে কী কী নিয়ম মানলে র্যাশের সমস্যা হবে না। ছবি: ফ্রিপিক।
গায়ের অবাঞ্ছিত রোম তুলতে ওয়্যাক্সিং করাতেই হয়। অনেকেই রোম তুলতে রেজ়ার ব্যবহার করেন। তবে বেশি রেজ়ার ব্যবহার করাও ত্বকের জন্য ভাল নয়। তাই ওয়্যাক্সিংয়ের পথেই হাঁটেন অনেকে। কিন্তু সেখানেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সকলের ত্বক সমান নয়। অনেকেরই সংবেদনশীল। সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোম তোলার পরেই সারা গা র্যাশে ভরে গিয়েছে। হাতে-পায়ে লালচে দাগ, ছোট ছোট ফুসকুরিও বেরিয়েছে। র্যাশের সঙ্গে কারও আবার গায়ে প্রচণ্ড চুলকানির সমস্যাও দেখা যায়। ত্বকে প্রদাহ হয়, ফুলে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১) শরীরের যেখানে যেখানে ওয়্যাক্সিং করেছেন, সেখানে অ্যালো ভেরা জেল মেখে নিন। অ্যালো ভেরা ত্বকের প্রদাহ কমায়। রোম তোলার পরে চুলকানি বা জ্বালা ভাব থাকলে, তা কমিয়ে দিতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। দেখবেন র্যাশের সমস্যাও হবে না।
২) ত্বক যদি ফুলে লাল হয়ে যায়, তা হলে বরফ জলের সেঁক দিতে পারেন। রোম তোলার পর সেই জায়গায় বরফ জলে ভেজানো পাতলা, সুতির কাপড় বা আইসপ্যাক ধরে থাকুন কিছু ক্ষণ। দেখবেন জ্বালা ভাব কমে গিয়েছে।
৩) স্নান করার আগে ওয়াক্স করবেন না। আর রোম তোলার পরে গরম জলে ভুলেও স্নান করবেন না। স্টিম বাথও নেওয়া যাবে না। অনেকেই ওয়াক্স করার পরে উষ্ণ গরম জলে স্নান করেন। এতে র্যাশের সমস্যা আরও বাড়বে।
৪) রোম তোলার পর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখাও জরুরি। ত্বকে র্যাশের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখার জন্য ময়শ্চারাইজ়ার লাগাতেই হবে। ভিটামিন ই-যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার সবচেয়ে ভাল। ক্যামোমাইল, ক্যালেন্ডুলার মতো উপাদান রয়েছে, এমন ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন। তবে যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন, সেটি যেন অ্যালকোহল-মুক্ত হয়। তা হলে ত্বকে অস্বস্তি হবে না।
৫) ওয়াক্স করার পর যতটা সম্ভব কম রোদে যাবেন। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি এই সময়ে ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
৬) খুব আঁটোসাঁটো পোশাক বা সিন্থেটিক পোশাক পরবেন না। হালকা সুতির পোশাক পরাই ভাল। গায়ে যেন বেশি ঘাম না জমে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭) ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, তা হলে ওয়াক্সিং না করাই ভাল। এতে ত্বকের আর্দ্রতা আরও বেশি কমে যাবে। অত্যধিক শুষ্ক ত্বকে র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেবে।