রাজ্য সরকারের মত জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।
পনেরো বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে বেসরকারি বাসের বাতিল হওয়া ঠেকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বাসমালিকদের একাধিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। এ দিন বাসমালিক সংগঠন ছাড়াও রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, পরিবেশ দফতরের পক্ষ থেকে কেউ ছিলেন না।
মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস যাতে বাতিল না করা হয়, এ দিনের শুনানিতে সেই আবেদন জানান বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি, ওই সময়ে পরিষেবা অব্যাহত রাখতে বাসের পারমিট নবীকরণ এবং শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের মত জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। তবে, এ দিন মতামত জানানোর জন্য রাজ্যের তরফে আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি।
বাসমালিক সংগঠনগুলির দাবি, দূষণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বাসের বয়সকে মাপকাঠি না করে ইঞ্জিন এবং গাড়ির স্বাস্থ্যকে মাপকাঠি করা হোক। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও সেগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। একই ভাবে, বাসের ক্ষেত্রেও তার স্বাস্থ্য এবং দূষণের মাত্রা খতিয়ে দেখে বাস চলতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছেন মালিকেরা।
তবে, এ বিষয়ে পরিবেশ দফতরের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার আগেই বেসরকারি বাসের মালিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা জানিয়েছে। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘উন্নত প্রযুক্তির গাড়ির ব্যবহারে দূষণ কমেছে, এটাই আমরা বিবেচনায় আনার কথা বলছি।’’