অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
হাত-পায়ের চামড়ায় টান ধরছে মানে চুলও পাল্লা দিয়ে রুক্ষ হচ্ছে!
শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় চুলও জেল্লা হারাচ্ছে। দেহের মতো মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও হারায় ঠান্ডায়। ফলে চুলের ডগা ফাটা, খুশকি, চুল ঝরার মতো সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। স্নানের পর চুল আর্দ্র থাকলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। দিনের শেষে চুলের জট ছাড়াতে গিয়ে আরও একগোছা চুল উঠে আসে। চুল কোঁকড়ানো হলে এই সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। তবে স্নানের আগে এবং পরে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে সমস্যার সমাধান হবে।
কোঁকড়ানো চুলের যত্নে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
শ্যাম্পু করার সময়ে কী কী খেয়াল রাখবেন?
১) সপ্তাহে দু’বারের বেশি শ্যাম্পু না করলেই ভাল।
২) মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে।
৩) কোঁকড়ানো চুলের জন্যও আলাদা শ্যাম্পু পাওয়া যায়।
চুলেরও আর্দ্রতা প্রয়োজন:
১) চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে মাসে দু’বার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
২) মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত তেল মালিশ করতে হবে। এখন অবশ্য বিভিন্ন ধরনের সিরাম পাওয়া যায়। তেলের পরিবর্তে মাথার ত্বকে সিরামও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) নারকেল তেলের সঙ্গে অলিভ এবং ক্যাস্টর অয়েল সম পরিমাণে মিশিয়ে সপ্তাহে এক দিন মাথায় মাখতে পারেন। তাতে রক্ত সঞ্চালন যেমন ভাল হয়, তেমন চুলের ফলিকলগুলিও উদ্দীপিত হয়।
সুরক্ষিত রাখা:
১) বাইরে বেরোলে মাথায় স্কার্ফ বেঁধে রাখতে পারেন। হাওয়ায় চুল রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচাতে এই পদ্ধতি কাজে আসবে।
২) রাতে শোয়ার সময়ে আলগা করে চুল বেঁধে রাখলে ঘষা খেয়ে চুলের ডগা ফাটার আশঙ্কা কমবে।
৩) চুলের সাজসজ্জা করার ক্ষেত্রে জেল নয়, ক্রিম বেসড্ প্রসাধনী ব্যবহার করাই ভাল।