কী ভাবে তৈরি করবেন রাসায়নিক বর্জিত প্রাকৃতিক শ্যাম্পু? ছবি: সংগৃহীত।
চুলের যত্নে চাল ধোয়া জলের ব্যবহার এ দেশে তেমন প্রচলিত ছিল না। তবে কোরিয়ান প্রসাধনী জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে চাল ধোয়া জলের কদর বেড়েছে। ত্বকে তো বটেই, এখন চুলেও চাল ধোয়া জল ব্যবহার করেন অনেকে। শ্যাম্পু করার পর চাল ধোয়া জল দিয়ে চুল ধুলে তা অনেকটা কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। চুল হয়ে ওঠে রেশমের মতো। আবার, ওই তরল দিয়ে সম্পূর্ণ রাসায়নিক বর্জিত শ্যাম্পুও তৈরি করা যায়। তার সঙ্গে আর কী কী লাগে?
চাল ধোয়া জল দিয়ে শ্যাম্পু বানাবেন কী ভাবে?
উপকরণ:
চাল: ১ কাপ
রিঠা: ৪-৫টি
পরিমাণ মতো জল
পদ্ধতি:
প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে নিন। কিন্তু খুব বেশি বার ধোয়ার প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে চালের মধ্যে থাকা খনিজ ধুয়ে বেরিয়ে যাবে।
এ বার ওই জলের মধ্যে রিঠাগুলি ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভাল। না হলে ঘণ্টা দুয়েক ভিজিয়ে রাখতেই হবে।
চালের জল হালকা গরম করে নিলে চটকাতে সুবিধা হবে। ওই তরল শ্যাম্পুর মতো ফেনায় ভরে উঠবে।
ওই শ্যাম্পু কী ভাবে মাখবেন?
প্রথমে সাধারণ জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন।
তার পর চাল ধোয়া জল আর রিঠা দিয়ে তৈরি ওই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। হেয়ার ব্রাশ দিয়ে মাথায় হালকা মাসাজ করতে পারেন। তাতে খুশকি বা মৃত কোষ সহজেই দূর হয়ে যাবে।
মিনিট দুয়েক পর জল দিয়ে ভাল করে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন রাসায়নিক-মুক্ত এই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া যেতে পারে।
চালের জল দিয়ে তৈরি শ্যাম্পু মাখলে কী উপকার হবে?
১) চাল ধোয়া জলে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, চুলের ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করতেও সাহায্য করে।
২) মরসুম বদলে মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয় এই সময়ে। চাল ধোয়া জল মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখে। ফাঙ্গাস বা ছত্রাকঘটিত সংক্রমণও রুখে দিতে পারে।
৩) চুলের জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে চাল ধোয়া জল। এই তরলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। যা নিষ্প্রাণ চুলকেও ঝলমলে করে তোলে।