ছবি: প্রতীকী
প্রতি দিন ক্লিনজ়ার, টোনার এবং ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেন সৌমি। সঙ্গে সালোঁয় গিয়ে মাসে এক বার করে ব্লিচ এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ফেসিয়াল। রোদে ঘোরাঘুরি করে ত্বকে যে কালচে ছোপ পড়ে, তার থেকে চটজলদি রেহাই পেতে রাসায়নিক দেওয়া ‘ব্লিচ’ ছাড়া আর অন্য কিছুর উপর ভরসা করা যায় না। অল্প সময়ের মধ্যে ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে ব্লিচ অনেকেরই পছন্দের প্রসাধনী। অনেকেই আবার মুখের আবাঞ্ছিত রোম চোখের আড়াল করতেও ব্লিচ ব্যবহার করেন। তবে রাসায়নিক দেওয়া ব্লিচ যে ত্বকের ক্ষতি করে, সে কথাও জানেন অনেকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ব্লিচ আসলে শৌচাগার পরিষ্কারের একটি উপাদান। যার মধ্যে ‘সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড’-এর পরিমাণ ৩ থেকে ৮ শতাংশ। ত্বকের ব্যবহার করার জন্য যে ধরনের ব্লিচ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে এই ‘সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড’-এর পরিমাণ সামান্য। যা ত্বকের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। তবে এই ব্লিচ কিন্তু বাড়িতে তৈরি করে ফেলা যায়। হয়তো রাসায়নিক দেওয়া ব্লিচের মতো চটজলদি ফল মিলবে না। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার করলে সমস্যার সমাধান হবে।
প্রাকৃতিক ব্লিচ তৈরি করতে কী কী লাগবে?
লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
মধু: ১ টেবিল চামচ
দই: ১ টেবিল চামচ
কাঠবাদামের তেল: কয়েক ফোঁটা
পদ্ধতি
১) প্রথমে কাচের পাত্রে সমস্ত উপকরণ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২) এ বার এই মিশ্রণ মাখার আগে মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।
৩) মুখ শুকনো করে মুছে নিয়ে এই মিশ্রণ মেখে ফেলুন। ত্বকের অন্যান্য জায়গায়, যেখানে কালচে ছোপ বা রোদে পোড়া দাগ রয়েছে, সেই অংশে এটি মেখে কিছু ক্ষণ রেখে দিন।
৪) এই মিশ্রণ মাখার পর ঠোঁট বা চোখের চারপাশে সামান্য জ্বালার অনুভূতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেশি ক্ষণ মুখে এটি মেখে রাখার প্রয়োজন নেই।
৫) মিনিট দশেক পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।
৬) তবে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে কিন্তু ভুলবেন না।