রণবীর সিংয়ের মতো দাড়ি রাখতে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত
নভেম্বরে দাড়ি কাটা নিষেধ। খাতায়-কলমে এমন কিছু বলা না থাকলেও, আমেরিকা এবং ইউরোপের বহু দেশেই এমন রেওয়াজ আছে। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘নো-শেভ নভেম্বর’।
কিন্তু দাড়ি রাখছি বললেই তো হল না, তার যত্নও দরকার। না হলে দাড়ির গোড়ায় ময়লা জমে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। দাড়ির যত্ন কী ভাবে নেবেন? রইল সন্ধান।
• নিয়তিম সাফ করা: মাথায় যদি নিয়মিত শ্যাম্পু করেন, তা হলে দাড়িতে নয় কেন? অনেকেরই দাড়ি রীতিমতো ঘন হয়। তার ভিতর ময়লা জমে। ফলে দাড়ির গোড়ায় নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। তা থেকে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের। তাই নিয়মিত দাড়ির যত্ন নিতে শ্যাম্পু করা উচিত। কোন জাতীয় শ্যাম্পু আপনার ত্বকের জন্য ভাল, সেটিও মাথায় রাখতে হবে।
• তেল ব্যবহার করুন: দাড়িতে ব্যবহার করার জন্য নানা ধরনের তেল পাওয়া যায়। এটি দাড়ির ঘনত্ব ঠিক রাখে। তা ছাড়া দাড়িকে শুষ্ক হয়ে যেতে দেয় না। যদি আপনার ঘাম বেশি হয়, তা হলে সপ্তাহে এক বা দু’দিন এই তেল ব্যবহার করুন। আর ঘাম কম হলে রোজই ব্যবহার করতে পারেন। যদি দেখেন, দাড়ি চটচটে হয়ে যাচ্ছে, তা হলে এর ব্যবহার কমিয়ে দেবেন। কিন্তু বন্ধ করবেন না।
• ছেঁটে ফেলুন: গালের সব জায়গায় সমান হারে দাড়ি বাড়ে না। কোনও কোনও দাড়ি এ দিক ও দিক থেকে মাথা তোলে। এমন হলে সেগুলি ছেঁটে ফেলুন। কাঁচি বা ট্রিমার ব্যবহার করতে পারেন।
• পাকা দাড়ি তুলবেন না: বয়স বাড়লে দাড়িও পাকবে। একটি-দু’টি দাড়ি সাদা হয়ে যাবে। অনেকেই সেগুলি টান মেরে তুলে ফেলেন। এটি করবেন না। অনেকে ভাবেন, এতে আশপাশের অন্য দাড়িও পেকে যায় বুঝি। যদিও সেই দাবিটি সত্যি নয়। এমন কিছু না ঘটলেও, পাকা দাড়ি তুললে ত্বকের ক্ষতি হয়।
• বেশি করে জল খান: দাড়ির যত্ন নেওয়ার জন্য শরীর আর্দ্র রাখা খুব দরকারি। না হলে দাড়িও রুক্ষ হয়ে যাবে। তাই রোজ তিন থেকে চার লিটার জল খান। তাতে শরীর আর্দ্র থাকবে, দাড়িও নরম থাকবে।