জামদানি আসল কি না বুঝবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতায় আমরা বলি ঢাকাই শাড়ি। বাংলাদেশে গেলে অবশ্য জামদানি শাড়ির খোঁজ করতে হবে। নাম যাই হোক না কেন, এই শাড়ি বাংলার সব জায়গায় নারীদের বড় সাধের। গরমের দিনে কোনও অনুষ্ঠান হলেই মহিলাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে জামদানি। একটা হালকা রঙের জামদানির সঙ্গে মানানসই ডিজ়াইনার ব্লাউজ় আর অক্সিডাইজ়ড গয়না পরে নিলেই সাজ সম্পূর্ণ!
চলছে চৈত্র সেল। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এ বারেও একটা জামদানি কেনার কথা ভাবছেন? শুধু শাড়িই বা কেন, জামদানির সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি থেকে শুরু করে পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া, এমনকি ছোটদের পোশাকও বাজারে এখন বেশ চলছে। তবে সেলে নকল জামদানি কিনে ফেলছেন না তো? জামদানির শাড়ি বা পোশাক কেনার আগে অবশ্যই তা আসল কি না যাচাই করে নেবেন। ভাবছেন কী ভাবে?
১) আসল জামদানি শাড়ির শুরুর দিকটায় সাড়ে পাঁচ হাত পর্যন্ত কোন পাড় বোনা থাকে না। অর্থাৎ যে অংশটি কোমরে গোঁজা থাকে, তাতে পাড় থাকে না। মেশিনে বোনা জামদানি শাড়ি হলে তাতে পুরোটাই পাড় থাকে।
২) হাতে বোনা জামদানির চেয়ে মেশিনে বোনা জামদানি বেশি ভারী এবং খসখসে হয়। কারণ, মেশিনে তৈরি জামদানিতে নাইলনের সুতো ব্যবহার করা হয়।
৩) আসল জামদানি শাড়ির দাম নির্ধারণ হয় সুতোর মানের নিরিখে। তাঁতিরা একটি সুতোর সাহায্যেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোনেন জামদানি শাড়ি। এই শাড়ির সুতোর কোনও অংশ বেরিয়ে থাকে না।
৪) আসল জামদানি চেনার সবচেয়ে বড় উপায় হল শাড়ি উল্টে দেখা। জামদানি শাড়ির উল্টো দিকে যদি সুতো কাটা দেখেন, তবে বুঝবেন এটা মেশিনে বোনা। জামদানি শাড়ি তৈরি করার সময় তাঁতিরা একটি একটি করে সুতো হাতের সাহায্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বোনেন। তাই, শাড়িতে সুতোর কোনো অংশ বার হয়ে থাকে না। এই কারণে জামদানি শাড়িতে উল্টো পিঠ বোঝা যায় না সহজে।
৫) আসল জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হয়ে থাকে। তাই, এর নকশাও হয় খুব সূক্ষ্ণ ও নিখুঁত। ডিজাইনগুলি হয় খুব মসৃণ। জামদানি শাড়ি চেনার উপায় হিসাবে এই কৌশলটি বেশ কার্যকরী।