প্রাণের তোয়াক্কা না করেই ভিডিয়ো শুট। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের আগে বিভিন্ন কায়দায় বর-কনের ফোটোশুট এখন ‘ট্রেন্ডিং’। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হবু বর-কনেরা পেশাদার ফোটোগ্রাফার দিয়ে প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট করিয়ে থাকেন। কখনও বাড়ির আশপাশেই কোথাও, কখনও আবার শহরের বাইরে গিয়েও চলে ফোটোশুট। এই ফোটোশুট করতে কেউ কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেও প্রস্তুত। কখনও পাহাড়, কখনও সমুদ্রতটে, কখনও আবার নৌকায় চড়ে তরুণ-তরুণীরা ছবি তোলেন। সমাজমাধ্যমে সে সব ছবি শেয়ার করে বিয়ের দিন ঘোষণা করেন হবু বর-কনেরা। সম্প্রতি এক সমাজমাধ্যম প্রভাবীর প্রি ওয়েডিংয়ের ভিডিয়ো নজর কেড়েছে নেটাগরিকদের।
গুজরাতের বাসিন্দা আরিয়া ভুরা স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর প্রি ওয়েডিং হবে ঠিক সিনেমার মতো। কাছেপিঠে নয়, আরিয়া তাঁর প্রি ওয়েডিং শুট করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের স্পিতি ভ্যালি। তবে সেই শুট করতে গিয়ে যে এত বিপত্তি হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি আরিয়া। শুট করতে গিয়ে হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হলেন হবু কনে।
স্পিতির তাপমাত্রা তখন মাইনাস ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরিয়ার পরনে ছিল কালো হাতকাটা গাউন। চার দিকের পাহাড় বরফের চাদরে ঢাকা। আর সেই ঠান্ডায় হবু বরের সঙ্গে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দি করতে চেয়েছিলেন আরিয়া। আর সেই ভিডিয়ো শুট করতে গিয়ে প্রায় প্রাণ চলে যাচ্ছিল আরিয়ার। কী ভাবে তিনি প্রিওয়েডিং ভিডিয়োটি শুট করেছেন তার একটি ভিডিয়ো আরিয়া ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘ আপনারা কি কখনও এমনটা করার সাহস দেখাবেন? আমরা ঠান্ডায় প্রায় জমে যাচ্ছিলাম, তবুও আমাদের শুটটা শেষ করতেই হত। শুটের মাঝেই আমি হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হই। আমার সারা ক্ষণ মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার হাতে ক্রমাগত অ্যাসিড ঢেলে যাচ্ছিল। আমি সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি, আমার বর আর বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ যে ওরাও আমার সঙ্গে এত ঠান্ডা সহ্য করেছে। প্রায় ১ বছর ধরে সমস্ত পরিকল্পনা করেছিলাম, আর ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম ভিডিয়োটা তেমনটাই হয়েছে।’’
আরিয়ার এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া মাত্র নানা করম কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। এক জন লিখেছেন, ‘‘২ সেকেন্ডের ভিডিয়োর জন্য প্রাণের ঝুঁকি নেওয়ার কোনও মানে হয় না।’’