অভিনেতা ববি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
হাতেগোনা কয়েকটা দিন পরেই নভেম্বর মাস। এই মাসটা জুড়েই পুরুষদের মধ্যে দাড়ি না কাটার হুজুগ দেখা যায়। এই মাসটিকে ‘নো শেভ নভেম্বর’ বলে দাগিয়েও দেওয়া হয়। যদিও নভেম্বর মাসে দাড়ি না কাটা বা ‘নো শেভ নভেম্বর’-এর নেপথ্যে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সাধারণ মানুষকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতন করা এই ‘নো শেভ নভেম্বর’-এর মূল উদ্দেশ্য। সমাজমাধ্যমের দৌলতে যা ক্রমে হুজুগে পরিণত হয়েছে। তবে শুধু নভেম্বর নয়, হিন্দি ছবি ‘অ্যানিমাল’-এর অভিনেতা ববি দেওলকে দেখে পুরুষেরা প্রায় সারা বছরই দাড়ি রাখছেন। কিন্তু, দীর্ঘ সময় গালের দাড়ি না কাটলে যে ত্বকের দফারফা হবে! মাথার মতো অনেকের আবার দাড়িতেও খুশকি হয়। তার জন্য কি দাড়িতেও অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু মাখতে হবে?
দাড়ির যত্ন নিতে কী কী মেনে চলতে হবে?
১) চুলের মতো নিয়মিত দাড়িও ছাঁটতে হবে। তাতে যেমন পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকবে, তেমন মুখ ধোয়া বা স্নান করার পর ত্বকের ওই অংশে জল বসার আশঙ্কাও কমবে।
২) মুখ ধোয়ার জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন। কিন্তু দাড়ির দিকে বিশেষ নজর দেন কি? মুখ ধোয়ার সময়ে ঘন দাড়ির মধ্যে সাবানের ফেনা আটকে থাকতে পারে। তা শুকিয়ে গেলে সেখান থেকে ত্বকে খুশকি বা মৃতকোষের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই দাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ ক্লিনজ়ার ব্যবহার করতে পারলেই ভাল।
৩) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মুখ ধোয়ার পর ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার ব্যবহার করতে পারলেও মন্দ হয় না। বাজারে আলাদা করে ‘বিয়ার্ড অয়েল’ বা ‘বাম’ কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলিও ত্বকের জন্য ভাল।
৪) দাড়ি সংলগ্ন ত্বক ভাল রাখতে গেলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। এই অভ্যাসে ত্বকে জমা মৃত কোষ যেমন দূর হয়ে যায়, তেমনই ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যাও দূর হয়।
৫) স্নান করার পর যেমন চুল আঁচড়ান, তেমন দাড়িও আঁচড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চিরুনি কিনতে পাওয়া যায়। দাড়ির ঘনত্ব বুঝে উপযুক্ত চিরুনি কিনে নিতে পারলেও ভাল হয়।