বাজারে নকল জামদানির ছড়াছড়ি, আসলটা চিনবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজোর সময় কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে ঢাকাই কিংবা জামদানি শাড়ি। অনুষ্ঠান দিনের বেলা হোক কিংবা রাতের বেলা, জামদানি পরে যে কোনও সময়ই ভিড়ের মাঝে নজরকাড়া যায়। একটা হালকা রঙের জামদানির সঙ্গে মানানসই ডিজ়াইনার ব্লাউজ় আর অক্সিডাইজ়ড গয়না পরে নিলেই তো সাজ সম্পূর্ণ!
এখন অবশ্য বাজারে কেবল জামদানি শাড়িই নয়, জামদানির সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি থেকে শুরু করে পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া, এমনকি ছোটদের পোশাকও চলছে রমরমিয়ে। তবে দাম দিয়ে যে জামদানি কিনছেন সেটি আসল তো? জামদানির শাড়ি বা পোশাক কেনার আগে অবশ্যই তা আসল কি না যাচাই করে নেবেন। ভাবছেন কী ভাবে?
১) আসল জামদানি শাড়ির যে অংশটি কোমরে গোঁজা থাকে, তাতে পাড় থাকে না। মেশিনে বোনা জামদানি শাড়ি হলে তাতে পুরো শাড়িতেই পাড় থাকে।
২) মেশিনে তৈরি জামদানিতে নাইলনের সুতো ব্যবহার করা হয় তাই হাতে বোনা জামদানির চেয়ে মেশিনে বোনা জামদানি বেশি ভারী এবং খসখসে হয়।
৩) আসল জামদানি শাড়ির দাম নির্ধারণ হয় সুতোর মানের নিরিখে। তাঁতিরা একটি সুতোর সাহায্যেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোনেন জামদানি শাড়ি। এই শাড়ির সুতোর কোনও অংশ বেরিয়ে থাকে না।
৪) আসল জামদানি চেনার সবচেয়ে বড় উপায় হল শাড়ি উল্টে দেখা। জামদানি শাড়ির উল্টো দিকে যদি সুতো কাটা দেখেন, তবে বুঝবেন এটা মেশিনে বোনা। জামদানি শাড়ি তৈরি করার সময় তাঁতিরা একটি একটি করে সুতো হাতের সাহায্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বোনেন। তাই, শাড়িতে সুতোর কোনো অংশ বার হয়ে থাকে না। এই কারণে জামদানি শাড়িতে উল্টো পিঠ আর সোজা পিঠের তফাত সহজে বোঝা যায় না।
৫) আসল জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হয়ে থাকে। তাই, এর নকশাও হয় খুব সূক্ষ্ণ ও নিখুঁত। নকশাগুলি হয় খুব মসৃণ।