খুশকির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ভরসা হতে পারে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় মাথার ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়লে যেমন নানা সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই বেশি শুষ্ক হয়ে গেলেও মুশকিল। শুষ্ক ত্বকে বাসা বাঁধে খুশকি। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল ছত্রাক এবং ব্যাক্টেরিয়া। এ ছা়ড়াও ভিটামিন ডি-এর অভাব, ঘনঘন রাসানয়িক দ্রব্য মিশ্রিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার ফলেও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ভরসা হতে পারে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
নারকেল তেলের গুণেই দূর হবে খুশকি। ছবি: সংগৃহীত।
নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের ভূমিকা অনবদ্য। চুল ঝরা থেকে খুশকির সমস্যা, এক ফোঁটা নারকেল তেলেই লুকিয়ে সমাধান। মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও নারকেল তেলের গুণেই দূর হবে। এই তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা যে কোনও সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়। ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসের সঙ্গেও লড়াই করে এই তেল। সারা বছর যদি নারকেল তেল ব্যবহার না-ও করেন, বর্ষায় সপ্তাহে তিন দিন অন্তত এই তেল চুলে মাখুন। উপকার পাবেন।
ক্যাস্টর অয়েল
চুলের বৃদ্ধিতে ক্যাস্টর অয়েল দারুণ সাহায্য করে। মাথার ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতেও এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। ক্যাস্টর অয়েলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে খুশকির সমস্যা বাড়তে পারে না। এ ছাড়াও মাথার ত্বকের রক্ত স়ঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে ক্যাস্টর অয়েল। তিন দিন অন্তর এই তেল মালিশ করতে পারেন। চুল খুশকিমুক্ত থাকবে।
ডিমের কুসুম
চুলের জেল্লা ফেরায় ডিমের কুসুম। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো হেনাতেও তাই ডিমের কুসুম ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা এড়াতেও ডিমের কুসুম বেশ উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, বি২, বি৫-এর মতো উপাদান। যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও ডিমের কুসুমের জুড়ি মেলা ভার। ডিম ফাটিয়ে শুধু কুসুমটা আলাদা পাত্রে নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে চুলের গোড়ায় মাখুন। কিছু ক্ষণ রাখার পর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই নিয়ম মেনে চললেই যথেষ্ট।