সপ্তমীর সন্ধ্যায় অন্যের মনে জায়গা করে নিতে চাই জমকালো সাজ। ছবি- সংগৃহীত
ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকেই মুখভার আকাশের। শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টিও হয়েছে। তবে সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই শহরের রাস্তায় মানুষের ভিড় প্রমাণ করে পুজো নিয়ে সকলের উত্তেজনা তুঙ্গে। সপ্তমীর সকালেও শরতের আকাশে মেঘের আনাগোনা। নিম্নচাপের ভ্রুকুটি পুজোর আনন্দ মাটি করে দেবে না তো? সেটা না ভেবে বরং সপ্তমীর সন্ধ্যায় সাজগোজে মন দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বৃষ্টি হোক বা না হোক, সপ্তমীর সন্ধ্যায় অন্যের মনে জায়গা করে নিতে চাই জমকালো সাজ।
সপ্তমীর রাত মানে উৎসবের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। তবে অষ্টমীর রাতের জন্য জমাটি সাজ তুলে রাখতে চাইলে সপ্তমীর সন্ধ্যায় হালকা সাজতে পারেন। অষ্টমীতে অনেকেই সাবেকি সাজ পছন্দ করেন। তাই সপ্তমীর ভরসা হতে পারে ফিউশন। পুজোতে শাড়ি পরতেই পছন্দ করেন বেশির ভাগ। সকলের চেয়ে একটু আলাদা দেখাতে শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের পরিবর্তে পরে নিতে পারেন ক্রপ টপ। বেশ অধুনিক হবে সাজ। এমন পোশাকের সঙ্গে হার নয়তো কানের দুল— কোনও একটি পরতে পারেন। লম্বা হারের বদলে ‘নেকপিস’ জাতীয় কিছু পরতে পারেন।
কুর্তির সঙ্গেও এখন অনেকে শাড়ি পরেন। তেমন করেও পরতে পারেন। সুন্দর দেখাবে। সঙ্গে কোমরে একটা বেল্ট পরে নিলে সাজ হবে একেবারে আলাদা। এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে লম্বা ঝুলের হার পরুন। কানের পরতে চাইলে ছোট কিছু পরুন। ঝোলা দুল এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে যাবে না।
শাড়ি পরতে না চাইলে প্যান্টের সঙ্গে বেশ কারুকাজ করা ক্রপ টপ পরতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
শাড়ি পরতে না চাইলে সারা প্যান্টের সঙ্গে বেশ কারুকাজ করা ক্রপ টপ পরতে পারেন। এ বার পুজোয় কম বয়সিদের মধ্যে শরারা প্যান্টের আলাদা একটা চাহিদা রয়েছে। চাইলে সঙ্গে একটি ওড়না নিতে পারেন। তবে ওড়না নিলে একটু কায়দা করে ব্যবহার করতে হবে। সালোয়ার কামিজের মতো সামনে দিয়ে ঝুলিয়ে নিলে হবে না। এর সঙ্গে বেশি গয়না না পরলেও চলবে। খুব বেশি মেক আপেরও প্রয়োজন নেই। ‘নো-মেক আপ’ লুক তৈরি করতে পারেন।
বৃষ্টি হতে পারে ভেবে অনেকেই সপ্তমীর সন্ধ্যার জন্য বেছে রাখা ভারী পোশাকটি সরিয়ে রাখছেন। একে ভিড়, তার উপর বৃষ্টি— এমন পরিস্থিতিতে হাঁটু ঝুল রঙিন কোনও কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন ডেনিম জিন্স। পায়ে সাদা স্নিকার্স। জমকালো সাজের ভিড়ে এমন ছিমছাম সাজেই হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা।
যে কোনও কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন ডেনিম জিন্স। ছবি: সংগৃহীত
সপ্তমীর সন্ধ্যার জন্য একেবারে আদর্শ পোশাক হতে পারে ‘ওয়ান পিস’। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এবং অন্যান্য সাবেকি পোশাক পরার জন্য তো অষ্টমী, নবমী, দশমী রইল। সপ্তমীর সাজে নতুনত্ব আনতে ভরসা রাখতেই পারেন এমন পশ্চিমী ঘরানার পোশাকে। আরামদায়ক আবার শৌখিনীও। আলাদা করে সামলানোরও ঝক্কি। বৃষ্টি-বাদলে ভিজে গেলেও অসুবিধা নেই।