শীতে ‘বডি বাটার’ কেন মাখবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
শীতের মরসুমে এমনিতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সমস্যা আরও বেশি হয়, যাঁদের ত্বকের ধরন এমনিতেই শুষ্ক, তাঁদের। শুধু মুখের ত্বকই নয়, এই সময় সারা গা, হাত-পাও আর্দ্রতা হারায়। তেল, ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলে সাময়িক ভাবে হয়তো কাজ হয়, তবে কয়েক ঘণ্টা পরে ফের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ক্রিম, লোশন মেখেছেন, কিন্তু তাতেও বিশেষ কাজ হচ্ছে না? তা হলে বরং মেখে দেখতে পারেন বডি বাটার।
বডি বাটার কী?
এটি হল বেশ ঘন এক ধরনের ক্রিম জাতীয় প্রসাধনী, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ় করে। বডি বাটার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ত্বককে পুষ্টিও জোগায়। এতে থাকে ভিটামিন, এসেনশিয়াল অয়েল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। গা, হাত-পায়ে মাখা যায় এটি। বিশেষত শুষ্ক কনুই, হাঁটু বা পায়ের পাতার জন্য বডি বাটার বিশেষ উপযোগী।
বডি বাটারে কোন ধরনের উপাদান থাকে?
শিয়া বাটার: আফ্রিকান শিয়া গাছের ফল থেকে তৈরি হয় শিয়া বাটার। ত্বকের পরিচর্যায় এই উপকরণটি অত্যন্ত ভাল। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।
কোকো বাটার: কোকো বীজ থেকে তৈরি হয় এই মাখন। বলিরেখা দূর করতে, ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধিতে এই উপাদানটি বিশেষ কার্যকর।
ভিটামিন ই: ত্বক টানটান রাখতে, ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ভিটামিন ই বিশেষ কার্যকর।
এ ছাড়াও নারকেল তেল, এসেনশিয়াল অয়েল, কাঠবাদামের তেল-সহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণে তৈরি বডি বাটার বাজারে মেলে।
কোন ত্বকে কোনটি উপযোগী?
শুষ্ক ত্বক: ত্বকে নখের আঁচড় টানলে কি সাদা হয়ে খড়ি ফোটে? এই ধরনের অত্যন্ত শুষ্ক ত্বকের জন্য বেছে নিতে পারেন শিয়া, কোকো কিংবা ম্যাঙ্গো বাটার।
তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ত্বকে শুষ্ক ভাব কমই থাকে। তবে শীতের মরসুমে যে কোনও ত্বকেই আর্দ্রতা কমে যায়। এই ধরনের ত্বকের জন্য অ্যালো ভেরা, কোকো বাটার বা গ্রেপ সিড অয়েল যুক্ত বডি বাটার ভাল।
সাধারণ ত্বক: এই ধরনের ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত, কোনওটাই নয়। এই ধরনের ত্বকের সমস্যাও কম। নারকেল তেল, অ্যালো ভেরা, কোকো, শিয়া বাটার, এসেনশিয়াল অয়েল যুক্ত বডি বাটার সাধারণ ত্বকের জন্য উপযোগী।