সঠিক ফাউন্ডেশন বাছাই করবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক
গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ঠিক ফাউন্ডেশনটি খুঁজে বার করা মোটেই সহজ কাজ নয়। অনলাইনে কেনাকাটার সময়ে সমস্যা হয় আরও বেশি। যে ফাউন্ডেশনটি কিনবেন বলে ভাবছেন, সেটি আদৌ আপনার জন্য সঠিক তো? বুঝবেন কী করে? অনলাইনে একাধিক রঙের কার্ড দেখানো হয় বটে, তবে তা দেখে ঠিক করে বোঝা সম্ভব নয়। তাই অন্তত ফাউন্ডেশন কেনার সময়ে অনলাইনের ভরসায় না থেকে দোকানে যাওয়াই শ্রেয়।
ঠিক রঙের ফাউন্ডেশন বাছাই করবেন কী ভাবে?
১) কব্জির কাছে শিরার রং-ই বলে দিতে পারে আপনার ত্বকের ধরন। শিরা নীলচে হলে আপনার ত্বক শীতল প্রকৃতির। শিরার রং সবুজ হলে বুঝবেন, আপনার ত্বক উষ্ণ প্রকৃতির। আর শিরার রং যদি সঠিক ভাবে বোঝা না যায়, তা হলে বুঝবেন আপনার ত্বক উষ্ণ বা শীতল নয়, মাঝামাঝি প্রকৃতির। আপনার ত্বকের ধরন জেনে নিলেই ফাউন্ডেশন বাছাই করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। ত্বকের ধরনের সঙ্গে যায়, এমন রঙের ফাউন্ডেশন প্রথমে চোয়ালে লাগিয়ে দেখুন। যে রং ত্বকের সঙ্গে বেশি মিলে যাচ্ছে, সেটাই আপনার আদর্শ শেড।
২) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি, হালকা, ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। ত্বক শুষ্ক হলে বেছে নিতে হবে ভারী এবং হাইড্রেটিং ফর্মুলার ফাউন্ডেশন। স্পর্শকাতর ত্বক হলে বেছে নিন হাইপো-অ্যালার্জেনিক ফাউন্ডেশন, এড়িয়ে চলুন ভারী ধরনের ফর্মুলা।
দোকানে খুব বেশি আলোর মধ্যে ফাউন্ডেশন বাছাই করবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৩) রূপটানশিল্পীরা এক এক ধরনের ফাউন্ডেশন এক এক রকম সাজের জন্য ব্যবহার করেন। আগে থেকেই স্থির করে নিন, আপনার কেমন সাজ পছন্দ এবং সেই মতো বেছে নিন। ম্যাট, সেমি-ম্যাট, ডিউয়ি এবং ইলিউমিনেটিং বা শিয়ার ফিনিশ— বাজারে ফাউন্ডেশনের অভাব নেই।
৪) ফাউন্ডেশন লাগানোর পর তা ত্বকের স্বাভাবিক তেলের সঙ্গে মেশে এবং বিক্রিয়া করে অক্সিডাইজড হয়ে যায়। ফলে ফাউন্ডেশন পরখ করে দেখার সময়ে তা ত্বকে লাগিয়ে বেশ খানিক ক্ষণ বসতে দিন। তার পর সিদ্ধান্ত নিন কোন রঙের ফাউন্ডেশনটি কিনবেন। কারণ ফাউন্ডেশন লাগানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর অনেক সময়েই রং সামন্য গাঢ় হয়ে যায়।
৫) দোকানে খুব বেশি আলোর মধ্যে ফাউন্ডেশন বাছাই করবেন না। কম আলো আছে, এমন জায়গায় ত্বকে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে দেখুন। তবে হাতে নয়, চোয়ালের দিকে ফাউন্ডেশন লাগান।