ছবি: প্রতীকী
একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট কাদাময়। বর্ষাকালে বৃষ্টি ভাল লাগলেও এই একটি কারণেই অস্বস্তি বোধ করেন অনেকে। প্লাস্টিকের চপ্পলও যে পরবেন, এমন পেডিকিয়োর করা সুন্দর পায়ের নখের তলা তো আর দেখার মতো অবস্থায় থাকবে না। আবার কায়দার হিল জুতো পরলেও সেই কাদাজল জুতোর আশপাশ থেকে উঠে এসে পা নোংরা করবে। আবার কায়দার জুতো যদি বৃষ্টির জলে ভিজে যায়, সেই ভেজা জুতো থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে। সালোঁয় গিয়ে যে পেডিকিওর করাবেন, সেখানেও তো সংক্রমণের ভয় রয়েছে। কারণ সালোঁয় ব্যবহৃত জিনিসগুলি সর্বসাধারণের জন্য। কার পায়ের ত্বকে বা নখে কী সমস্যা রয়েছে, তা কেউ জানেন না। এত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে বর্ষাকালে পায়ের নখ কেটে রাখা ছাড়া আর কী কী করণীয়?
১) জল বসতে দেওয়া যাবে না
বর্ষাকালে বাইরে বেরোলে বাড়ি ফিরে পা ধুয়ে ফেলা দস্তুর। তবে পায়ের ত্বক ভাল রাখতে গেলে পায়ে জল বসতে দেওয়া যাবে না। শুকনো করে মুছে ফেলতে হবে। নখের কোণে যেন কোনও ভাবেই জল না বসে, সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
২) খালি পায়ে হাঁটবেন না
ভিজে ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটতে ভাল লাগলেও বর্ষাকালে এমন ভুল করা একেবারেই অনুচিত। বৃষ্টিতে মাটিতেও বিভিন্ন রকম পরজীবীর আনাগোনা বেড়ে যায়। খালি পায়ে হাঁটলে তা নখের মধ্যে দিয়ে শরীরের ভিতর প্রবেশ করতে পারে।
৩) নিয়মিত পা পরিষ্কার করা
কাজ থেকে ফিরে দিনের শেষে পা পরিষ্কার করতেই হবে। গরম জলে শ্যাম্পু দিয়ে তার মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখতে পারলে খুব ভাল হয়। পায়ে সংক্রমণজনিত সমস্যা প্রাথমিক স্তরেই নির্মূল হয়ে যায় এই অভ্যাসে।
ছবি: প্রতীকী
৪) ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা
বার বার পা ধুলে পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই দিনে অন্তত দু’বার পায়ে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার অভ্যাস করুন। স্নানের পর এবং শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই পায়ে ক্রিম মাখার অভ্যাস করুন।
৫) বর্ষার জুতো নির্বাচন
বৃষ্টির জলে ভেজা জুতো পরেও কিন্তু পায়ে সংক্রমণ হতে পারে। তাই এমন জুতো কিনুন, যেগুলি জলে ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এই সময়ে চামড়ার বা ক্যানভাস কাপড়ের জুতো না পরাই ভাল।