পরিবেশ বান্ধব পোশাকে সাজিয়ে তুলতে পারেন ওয়াড্রোব। ছবি: সংগৃহীত।
দিনে-দিনে দূষণ যত বাড়ছে ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্র। তার মধ্যে জুড়ে গিয়েছে শাড়ি থেকে রকমারি পোশাক। যে কাপড়ের উপাদান থেকে শুরু করে রং, সমস্তটাই প্রাকৃতি থেকে তৈরি, তাকেই পরিবেশ বান্ধব পোশাক বলে। এই ধরনের পোশাক কাচলেও সেই জলে থাকে না কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিক। সেই জল পরিবেশে দূষণ বাড়ায় না। পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভাল এই ধরনের পোশাক।
একজন পরিবেশ সচেতন মানুষ হিসাবে আপনার ওয়াড্রোবও সাজিয়ে তুলতে পারেন স্টাইলিশ ও ফ্যাশন দুরস্ত পরিবেশ বান্ধব পোশাক ও উপকরণে।
সংখ্যা নয়, গুণগত মানে জোর দিন
পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ও গুণগত মানের জন্য এই ধরনের শাড়ি, পোশাক একটু দামী হয়। জৈব রং ব্যবহার করা হয় এই ধরনের পোশাকে। তাই কম দামি একাধিক পোশাকের বদলে ভাল মানের পোশাক রাখুন ওয়াড্রোবে। হতে পারে সংখ্যায় কম হল, তবে এ ধরনের কাপ়ড় বা পোশাক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
টেকসই উপকরণ
পরিবেশ সচেতনতায় এমন উপকরণ বেছে নিন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। এক্ষেত্রে ‘অর্গ্যানিক কটন’, বাঁশ বা জৈব তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। এই ধরনের কাপড় তৈরির সময় খুব কম পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহার হয়। জিনিসগুলি অত্যন্ত টেকসইও হয়।
এথনিক ব্র্যান্ডকে উৎসাহ
ইদানীং অনেক ফ্যাশন ব্র্যান্ড পরিবেশ সচেতনতায় পরিবেশ বান্ধব পোশাক তৈরিতে জোর দিচ্ছে। বাজারে হয়তো তারা একেবারেই নতুন। তাদের ভাল উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে ওয়াড্রোবে পরিবেশ বান্ধব পোশাক রাখায় জোর দিতে পারেন।
পুরনো কাপড়কেই দিতে পারেন নতুন রূপ
কখনও কখনও পুরনো শাড়ি বা ছিঁড়ে যাওয়া পোশাক ফেলে না দিয়ে, পোশাকের অংশ বিশেষ কেটে জুড়ে নতুন পোশাক তৈরি করে নিতে পারেন। একদিকে যেমন পুরনো জিনিসের সঠিক ব্যবহার হবে, তেমনই নতুন ধরনের পোশাকে সেজে উঠবে আপনার ওয়াড্রোব।
এভাবেই ধাপে-ধাপে আপনার ওয়াড্রোব সেজে উঠতে পারে স্টাইলিশ অথচ পরিবেশ বান্ধব পোশাকে। আপনার সেই ভাবনা, আদর্শ, সজ্জা আরও পাঁচ জনকে উদ্বুদ্ধ করলে বাঁচবে পরিবেশ।