কনট্যুরিং-এর সময় কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চললেই সাজ হবে সুন্দর। ছবি: ফ্রি পিক।
মুখের খুঁত অনেকাংশেই ঢেকে দেওয়া যায় নিখুঁত মেকআপে। বাঁকা নাক থেকে স্থূল গাল, অনেকটাই বদলে যায় মেকআপের সঠিক কারিকুরিতে। কনট্যুরিং সম্প্রতি হয়ে উঠেছে এর অন্যতম অঙ্গ।
বলা চলে, নাক, চোখ, মুখ আরও আরও সুন্দর দেখানোর জন্য কনট্যুরিং হয়ে উঠেছে জনপ্রিয়। কিন্তু যে কনট্যুর সৌন্দর্য বাড়াতে পারে, অপটু হাতের কাজে তা-ই ঘটিয়ে ফেলতে পারে অঘটন। সমগ্র সাজই নষ্ট হতে পারে ভুল কনট্যুরিংয়ে।
তাই ভুলেও যে ভুল করা যাবে না
ভুল রং-কনট্যুরিংয়ের জন্য সঠিক রং বেছে নেওয়া খুব জরুরি। খুব গাঢ় বা খুব হাল্কা রং দিয়ে কনট্যুরিং করলে তা ভীষণ কৃত্রিম দেখাতে পারে। মেকআপ যদি বাইরে থেকে চোখে পড়ে, তা হলে তো পরিশ্রমই বৃথা। ত্বকের রঙের চেয়ে এক বা দুই শেড গাঢ় কনট্যুর বেছে নেওয়া উচিত। মেকআপ হালকা রাখতে চাইলে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা রং বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে তা যেন ত্বকের রঙের চেয়ে বেশি হালকা না হয়ে যায়, সেটা মাথায় রাখতে হবে।
অতিরিক্ত ব্যবহার- গাল থেকে নাক সুন্দর দেখাতে গিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কনট্যুর ব্যবহার করলেই সব নষ্ট। কনট্যুরের ব্যবহার এমন ভাবে করতে হবে, তা যাতে মুখ আরও সুন্দর দেখায়, কিন্তু কোনও ভাবেই সেই রঙের আলাদা প্রলেপ মুখে না বোঝা যায়।
ভুল কনট্যুরিং-চোয়াল, গাল, নাক ঠিক কোন অংশটাতে কনট্যুরিং করতে চাইছেন তা বোঝা জরুরি। কনট্যুরিংয়ের রং ব্যবহারের পর কোন দিকে কী ভাবে মেশাতে হবে, তা জানতে হবে। না হলে ভুল কনট্যুরিং মুখের আকারই বদলে দিতে পারে।
ভাল ভাবে মেশাতে হবে-কনট্যুর করার পর তা ত্বকের সঙ্গে যথাযথ ভাবে মিলিয়ে দেওয়া খুব জরুরি। না হলে মুখ রঙের স্তর অত্যন্ত কৃত্রিম দেখাবে। খুঁত ঢাকা পড়ার বদলে দেখতে বাজে লাগবে। ভাল ভাবে ত্বকের সঙ্গে কনট্যুরের রং মেশাতে স্পঞ্জ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুখের গড়ন ও কনট্যুর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার
প্রত্যেকর মুখের গড়ন আলাদা। সেই অনুযায়ী কনট্যুরিং হবে আলাদা। ফলে কী ভাবে কনট্যুরিং করলে মুখের কোন অংশ আরও তীক্ষ্ম দেখাবে, তা আগে বুঝে নেওয়া দরকার। না বুঝে কাজ করতে গেলেই নষ্ট হবে সাজ।