শীতকালের পোশাক রঙিন হলে ক্ষতি নেই। ছবি: সংগৃহীত
জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও, বাতাসে শীতের আমেজ। শীতকাল মানেই নানা উৎসবের সমারোহ। পৌষ পার্বণ, বড়দিন, নতুন বছর। সর্বোপরি বিয়েবাড়ি। শীতকালীন এই উৎসবের আবহে সাজগোজ নিয়েও খানিক আলাদা ভাবনা-চিন্তা থাকে। এই সময় শীতবস্ত্রে নিজেকে জড়িয়ে রাখলেও উৎসবের প্রবাহে অন্যের নজর কাড়তে মেনে চলুন কয়েকটি বিষয়।
১) গরম কালে হাল্কা রং এর জামাকাপড় আরামদায়ক হলেও, শীতকালের পোশাক রঙিন হলে ক্ষতি নেই। বরং শীতকালীন উৎসবের জামাকাপড় নির্বাচন করতে গাঢ় রংকেই বেশি প্রাধান্য দিন। এক্ষেত্রে কালো, গাঢ় লাল, মেরুন, বেগনি রঙের পোশাক পরতে পারেন। পোশাকের গাঢ় রং আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
জিন্স পরলে তার সঙ্গে পরতে পারেন ব্লেজার। ছবি: সংগৃহীত
শাড়ি পরলে শাড়ির সঙ্গে মানানসই কাঁথার কাজ করা শাল কাঁধের একপাশ থেকে ঝুলিয়ে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
২) শীতকালে গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে মানানসই শীতবস্ত্র পরুন। জিন্স পরলে তার সঙ্গে পরতে পারেন ব্লেজার। শাড়ি পরলে শাড়ির সঙ্গে মানানসই কাঁথার কাজ করা শাল কাঁধের একপাশ থেকে ঝুলিয়ে নিতে পারেন। ছেলেরা পাঞ্জাবি পরলে, তার রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কায়দা করে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর।
৩) কী পোশাক পরছেন, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সেই পোশাকটি আপনার চেহারার সঙ্গে কতটা মানানসই। তাই যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে পোশাক নির্বাচনের আগে আরামদায়ক এবং সহজে সামলানো যায়, এমন পোশাক বাছুন।
৪) শুধু তো পোশাক নয়, নিজেকে সুন্দর করে তুলতে চুলেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বিয়ে বা জমকালো কোনও উৎসবে শাড়ি পরলে তার সঙ্গে বাঁধতে পারেন হাতখোঁপা। পশ্চিমী কায়দার কোন পোশাকের ক্ষেত্রে খোলা রাখতে পারেন চুল।
৫) কোন পোশাকের সঙ্গে কী ধরনের গয়না পরবেন, এই নিয়ে অনেকেই ধন্দে থাকেন। শাড়ি পরলে কানের দুল এবং হার, দু'টি একসঙ্গে না পরাই ভাল। গলা জুড়ে থাকে এমন হার শুধু পরতে পারেন। অথবা বড় একটি কানের দুলও পরে নিতে পারেন।