এই সময়ে বাইরে বেরোলে ত্বকের অবস্থা যে বেহাল হবে, সে কথা আর কে না জানে! ছবি: সংগৃহীত।
এপ্রিল মাসে কলকাতায় তাপপ্রবাহের এমন দাপট যে, তা মরুভূমিকেও টেক্কা দিচ্ছে। দিল্লির মৌসম ভবন বলছে, সোমবার জয়পুরের তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে কলকাতার পারদ ছুঁয়েছিল ৪১.৬ ডিগ্রি। এই সময়ে বাইরে বেরোলে ত্বকের অবস্থা যে বেহাল হবে, সে কথা আর কে না জানে! সূর্যের নানা রকম ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ত্বকে র্যাশ, লালচে ভাব, জ্বালার অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের কালচে দাগও সহজে উঠতে চায় না। এমনকি ত্বকের ক্যানসার হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল এই রশ্মি। কিন্তু রোদের ভয়ে ঘরে বসে থাকলেও তো চলবে না। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু সতর্কতা মেনে চললে সূর্যের এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
কিছু সতর্কতা মেনে চললে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে কী কী মেনে চলবেন?
১) প্রয়োজন না থাকলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ঘরের বাইরে বেরোবেন না।
২) হালকা রঙের, সুতির পাতলা পোশাক পরতে চেষ্টা করুন। ছাদে গেলেও গা-ঢাকা পোশাক পরুন।
৩) বাইরে গেলে ছাতা, টুপি এবং রোদচশমা পরতে ভুলবেন না।
৪) বাইরে না বেরোলেও সানস্ক্রিন মাখতে হবে। সূর্যের ইউভিএ, ইউভিবি এবং আইআর রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে ত্বকের ধরন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অন্তর মুখ ধুয়ে আবার সানস্ক্রিন মেখে নিন।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। সঙ্গে ডাবের জল, ঘোল, লেবুর শরবত, বেলের পানা, ইলেকট্রোলাইট রাখতে পারলে আরও ভাল।
৬) গরমে খুব কষ্ট হলে মাঝেমধ্যে ত্বকের পোড়া জায়গায় বরফ ঘষতে পারেন। তবে ত্বকের উপর সরাসরি বরফ ঘষবেন না। আইসব্যাগ ব্যবহার করতে পারলে সব থেকে ভাল হয়।
৭) বিশেষ কোনও রাসায়নিকযুক্ত ক্রিম মেখে বা ত্বকের কোনও চিকিৎসা করানোর পরই রোদে বেরোবেন না। রাসায়নিকগুলি রোদের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ত্বকের প্রভূত ক্ষতি করে। ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।