মাখানা দিয়েই হবে রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
মাখানা স্বাস্থ্যকর। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল মাখানা। এ ছাড়াও নানা রকম খনিজ রয়েছে এই বীজে। তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে এই খাবারের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই খাবারটি যে ত্বকেরও যত্ন নিতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বাড়িতে থাকা সাধারণ কিছু উপাদানের সঙ্গে মাখানার গুঁড়ো মিশিয়ে ঘরোয়া ‘অ্যান্টি এজিং’ প্যাক তৈরি করে ফেলা যায়। কিন্তু মাখানার মধ্যে এমন কী আছে, যা ত্বকের জন্য ভাল?
১) মাখানা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি প্রাকৃতিক ভাবেই তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ‘ফার্মা ইনোভেশন’ জার্নালে ২০২৩-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই ফ্রি র্যাডিক্যাল হল শরীরে উপস্থিত ‘আনস্টেবল’ বেশ কিছু মৌল। যেগুলি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তবে ত্বকের এই ক্ষতি রুখতে পারে কোলাজেন নামক শরীরের নিজস্ব প্রোটিন। মাখানা খেলে এই প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
২) মাখানায় প্রয়োজনীয় বেশ কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিডও রয়েছে। ‘ফুড প্রোডাকশন, প্রসেসিং অ্যান্ড নিউট্রিশন’ জার্নালে ২০২২-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের ভূমিকা রয়েছে। এই উপাদানটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
৩) মাখানায় নানা রকমের খনিজ রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ রক্ত সরবরাহে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের লাবণ্য ফুটে ওঠে।
মাখানা মুখে মাখবেন কী ভাবে?
১) মাখানার ফেসপ্যাক:
ছোট একটি পাত্রে টক দই, মধু এবং শুকনো খোলায় ভাজা মাখানার গুঁড়ো নিন। সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন। মিনিট ১৫ বাদে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
২) মাখানার এক্সফোলিয়েটর:
ছোট একটি পাত্রে মাখানার গুঁড়ো, ব্রাউন সুগার এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তার পর হালকা হাতে এই মিশ্রণ দিয়ে মাসাজ করতে থাকুন। চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পরে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিলেই হবে।
৩) মাখানার টোনার:
প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ মাখানা এবং পরিমাণ মতো জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন। গ্যাস বন্ধ করে ছেঁকে নিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে ওই দ্রবণে অল্প পরিমাণে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। চাইলে ফ্রিজেও রাখতে পারেন।