ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাই হোক কিংবা বাড়তি মেদ ঝরানো— গ্রিন টি-র অনেক গুণ। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতেও গ্রিন টি খাওয়া যায়। তবে শুধু শরীরের জন্য নয়, এই চায়ের কদর রয়েছে রূপচর্চার জগতেও।
রুক্ষ, নির্জীব চুলের হাল ফেরাতে পুজোর আগে সালোঁয় লাইন পড়ে যায়। কেউ স্পা করান। কেউ আবার কেরাটিন। কিন্তু এই ধরনের রাসায়নিক দেওয়া ট্রিটমেন্ট অনেকেই করাতে চান না। তাঁদের জন্য রয়েছে গ্রিন টি।
গ্রিন টি দিয়ে চুল ধুলে কী উপকার হবে?
১) হরমোনের হেরফের হলে চুল পড়ে। তেমনটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে গ্রিন টি বেশ কাজের। শ্যাম্পু করার পর সপ্তাহে দু’-তিন দিন গ্রিন টি ভেজানো জল দিয়ে মাথা ধুতে পারেন।
২) চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
৩) চুলের ডগা ফাটার সমস্যা রুখতেও গ্রিন টি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলা যায়। গ্রিন টিয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। তাই চুলের নিজস্ব জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
৪) গ্রিন টিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি অর্থাৎ প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। তাই মাথার ত্বকে সেই সংক্রান্ত সমস্যা রুখে দিতে পারে গ্রিন টি।
৫) মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। পাশাপাশি, রুক্ষ-নির্জীব চুল রেশমের মতো করতে সাহায্য করে।
সব ধরনের চুলেই কি গ্রিন টি মাখা যায়?
যাঁদের চুল একেবারে পাতলা, ফিনফিনে কিংবা মাথার ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা শ্যাম্পু করার পর রাসায়নিক দেওয়া কন্ডিশনারের পরিবর্তে গ্রিন টি দিয়ে চুল ধুতে পারেন। খুশকি নিরাময়েও সাহায্য করে গ্রিন টি।
কী ভাবে চুলে গ্রিন টি মাখবেন?
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল এই চায়ের জল দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলা। চুলের ঘনত্ব, দৈর্ঘ্য বুঝে পরিমাণ মতো জল ফুটিয়ে নিন। তার মধ্যে দু’টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার ওই তরল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পু করার পর গ্রিন টি ব্যাগ ভেজানো ওই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।