ছবি: সংগৃহীত।
খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া আটা-ময়দার মধ্যে অশুদ্ধি মিশে থাকতেই পারে। তাই প্যাকেটজাত নামী সংস্থার উপর ভরসা করেন অনেকেই। কিন্তু তার মধ্যে যে ভেজাল মেশানো নেই, এমন নিশ্চয়তাও তো কেউ দেয়নি। সমীক্ষা বলছে, আটা, ময়দায় পাথরের গুঁড়ো মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেক জায়গাতেই। কেবল তা-ই নয়, মেশানো হচ্ছে চকের গুঁড়ো, বালি, বোরিক অ্যাসিডের মতো রাসায়নিকও। দিনের পর দিন এই ভেজাল মেশানো আটা, ময়দা খেলে ক্ষতি হতে পারে কিডনি, লিভারের। তবে সব সময়ে গবেষণাগারে খাবার পাঠিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখা তো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ভেজাল নির্ধারণ করার ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি জেনে রাখা ভাল।
কী ভাবে বুঝবেন আটা বা ময়দায় ভেজাল মেশানো আছে কি না?
১) লেবুর রস দিয়ে পরীক্ষা:
২ টেবিল চামচ আটা বা ময়দার মধ্যে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। যদি ময়দার মধ্যে থেকে বুদবুদ উঠতে শুরু করে, তা হলে ধরে নিতে পারেন তার মধ্যে চক, বালি বা ধাতব কোনও অক্সাইডের গুঁড়ো মিশ্রিত রয়েছে। ওই ভেজাল মিশ্রিত আটা বা ময়দা লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিডের সংস্পর্শে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত করতে শুরু করে।
২) জল দিয়ে পরীক্ষা:
বাজার থেকে কিনে আনা আটা এক চামচ এক গ্লাস পরিষ্কার জলে ঢালুন। যদি আটা বা ময়দার মধ্যে ভেজাল মেশানো থাকে, তা হলে সেগুলি জলের উপরে ভেসে উঠবে। অশুদ্ধি মেশানো আটা বা ময়দা সহজে জলে দ্রবীভূত হয় না। আর যদি তার মধ্যে কোনও ভেজাল না থাকে, তা হলে সহজেই জলে গুলে যায়।
৩) স্পর্শ পরীক্ষা:
আটা বা ময়দার মধ্যে কোনও ভেজাল না থাকলে তা সাধারণত মসৃণ হয়। হাতে নিয়ে স্পর্শ করলেই বোঝা যায়। কিন্তু অশুদ্ধি মেশানো থাকলে তা খসখসে হয়। শুকনো অবস্থায় হাতে নিয়ে দলা পাকালেও বোঝা যায়।