ধূমপান কী ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে? ছবি: সংগৃহীত।
ধূমপান করলে যে ফুসফুসের বারোটা বাজে সে তো অনেকেই জানেন। নিয়মিত সুখটানে যে ত্বকেরও ক্ষতি হয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। কম বয়সে মুখে বলিরেখার সমস্যা, ঠোঁটে কালচে ছোপ, ত্বকের টান টান ভাব (ইলাস্টিসিটি) নষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সিগারেট পুড়লে ধোঁয়ার সঙ্গে বেঞ্জিন, আর্সেনিক, ফর্মালডিহাইডের মতো কমপক্ষে পাঁচ হাজার রাসায়নিক নির্গত হয়। যা শরীর তো বটেই, ত্বকেরও ক্ষতি করে।
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত ধূমপান করলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। ত্বকে র্যাশ, ব্রণর আধিক্য দেখা দিতে পারে। এর জন্য দায়ী সিগারেটের মধ্যে থাকা নিকোটিন। ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন যেমন কোলাজেন, ইলাস্টিনের মাত্রা হ্রাস পায়। ফলে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। টান টান ভাবও নষ্ট হয়। বছর কুড়ির যুবক-যুবতীর ত্বক দেখে প্রৌঢ় বলে ভুল হতে পারে। শরীরে বেশি নিকোটিন প্রবেশ করলে তার প্রভাবে ত্বক জেল্লা হারাতে পারে। কারণ, এই রাসায়নিকের প্রভাবে ত্বকে প্রদাহজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
অতিরিক্ত ধূমপান করলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
সিগারেট খাওয়া বন্ধ করলে ত্বকে কেমন প্রভাব পড়তে পারে?
যাঁদের ধূমপানে আসক্তি রয়েছে, তাঁদের জন্য এ কাজ ভীষণ কঠিন। তবে, মাসখানেক যদি ধূমপান থেকে দূরে থাকতে পারেন, তা হলে ত্বকে হারানো জেল্লা ফিরে আসতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান বন্ধ রাখলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ঠোঁটের কালচে ছোপ ধীরে ধীরে ফিকে হতে শুরু করে। সঠিক ভাবে যত্ন নিলে ত্বকের টান টান ভাবও ফিরে আসে।