দাড়ি রাখলেই হল না, ঠিকমতো যত্নও নিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমিকার মান ভাঙাতে চান? কিংবা জিততে চান বান্ধবীর মন? হয়তো ভাবছেন বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চমকে দেবে, তা হলে ঝটপট বদলে ফেলতে পারেন লুক। তার জন্য বেশি পরিশ্রম বা খরচার দরকার নেই। দাড়ি-গোঁফের ছাঁট বদলেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন আরও আকর্ষণীয়।
বিরাট কোহলি হোন কিংবা আয়ুষ্মান খুরানা, রণবীর সিং, ভিকি কৌশল, পুরুষ ফ্যাশনে এখন দাড়ির বিশাল কদর। নিজের লুক নিয়ে মাঝে মধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালান, তাঁদের অনেকেই এই দাড়ি রাখার বিষয়ে বেশ শৌখিন। কখনও ভ্যান ডাইক, কখনও রয়্যাল আবার কখনও সার্কল বিয়ার্ডে সেজে ওঠেন তাঁরা। আবার একমুখ ঘন দাড়িও ব্যক্তিত্বে আলাদা ছাপ আনে। তা হলে চলুন জেনে নিই, কী ভাবে দাড়ির যত্নআত্তি করবেন।
১) দাড়ি রাখার সাধ থাকলে পকেটে রাখুন আলাদা চিরুণি। বিভিন্ন নামী দোকান বা অনলাইনে সহজেই মেলে দাড়ির জন্য বিশেষ চিরুণি। চুল ও দাড়ির চরিত্র আলাদা। তাই চিরুণিও আলাদা রাখুন।
২) দাড়ি নিয়মিত ছাঁটা দরকার। তাই সপ্তাহে এক বার করে দাড়ি ট্রিম করুন।
৩) দাড়ির ছাঁট ঠিক রাখতে বিয়ার্ড ট্রিমার দরকার। দাড়ির যত্নের জন্য নানা রকম ছোট ট্রিমার পাওয়া যায় বাজারে। তা চার্জ দেওয়াও যায়। চুলের ট্রিমার নয় কিন্তু। তাই দেখে কিনবেন।
৪) রেজ়ার ব্যবহার করলে তা সব সময় পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখুন।
৫) দাড়িতে নতুন স্টাইল করতে চাইলে দাড়ি গজানোর পরেই তাকে ট্রিম করবেন না। একটু বড় হোক দাড়ি, তার পর স্টাইলের সিদ্ধান্ত নিন।
৬) শীত হোক বা গ্রীষ্ম, দাড়িতে ময়শ্চারাইজ়ার লাগাতেই হবে। দাড়ি রুক্ষ হয়ে গেলে দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। তাই ময়েশ্চারাইজ়ার আর দাড়ির জন্য আলাদা তেল অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
৭) রোদে বেরোলে মুখে যেমন সানস্ক্রিন মাখেন, তেমনই দাড়ির জায়গাটুকু বাদ দিলে হবে না। দাড়ির নীচের ত্বকে লাগাতে হবে সানস্ক্রিন, এতে ত্বকে কালচে ছোপ পড়বে না, দাড়িও চকচক করবে।
৮) চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগানোর সময় দাড়িতেও কন্ডিশনিং করতে হবে।
৯) ঘন সুন্দর দাড়ি চাইলে নিয়মিত এসেনশিয়াল অয়েল লাগাতে হবে দাড়িতে। তবে এসেনশিয়াল তেল অনেকের সহ্য হয় না। তাই আপনি ব্যবহার করবেন কি না তা ত্বক চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেবেন।