কী ভাবে চটজলদি মেকআপ করবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
হাতে সময় একদম নেই। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে হবে। এদিকে তাড়াহুড়ো করলে মনের মতো সাজটাই হবে না। কম সময়েও যদি নিখুঁত মেকআপ করে সাজ সম্পূর্ণ করতে হয়, তা হলে তার কিছু উপায় আছে। ধরুন, অফিস থেকে বিয়েবাড়ি বা কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে যাবেন। সারাদিনের কাজের পরে আপনাকে ক্লান্ত দেখাচ্ছে। কিন্তু অনুষ্ঠান বাড়িতে একদম টিপটপ সাজগোজ করে যেতেই হবে। তা হলে কী করবেন?
একগাদা মেকআপ, জমকালো পোশাক না পরেও কিন্তু মোহময়ী হয়ে ওঠা যায়। হালকা শাড়ি, তার সঙ্গে ভারী কাজের ব্লাউজ় পরে নিলেন, একদম সাদামাটা মেকআপ আর চুলটা যদি খোলা রাখেন, তা হলেই অপরূপা লাগবে আপনাকে।
সবচেয়ে আগে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। ক্রিম-বেসড ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তার পর একটা ফেস মাস্ক লাগিয়ে নিন। যদি মাস্ক না থাকে তা হলে টোনার দিয়ে মুখ মুছে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজ়ার লাগাবেন। মিনিট খানেক অপেক্ষা করুন। ময়শ্চারাইজ়ার ত্বকে টেনে গেলে অল্প প্রাইমার লাগিয়ে নিন। চোখের নীচে কালো দাগছোপ বেশি থাকলে, অবশ্যই কনসিলার লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ফাইন্ডেশন লাগিয়ে ভাল করে সারা মুখে ব্লেন্ড করে নিন।
চোখের তলায়, নাক বা ঠোঁটের পাশে যাতে ঘাম না হয়, তাই পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে পারেন। এ বার চোখে কাজল পরুন। চাইলে মাস্কারাও দিতে পারেন। শাড়ি বা পোশাকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে রঙিন আইলাইনার পরতে পারেন। দেখতে ভাল লাগবে। গালের দু’পাশে লালচে আভা দিতে হালকা করে ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন। ব্লাশ না থাকলে লিপস্টিক দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। এ বার গালে, নাকের উপর লম্বা করে হাইলাইটার দিয়ে নিন। মুখ দ্যুতিময় হয়ে উঠবে।
ভ্রূ আঁচড়ে আঁচড়ে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিলে খুব সুন্দর দেখাবে। ঠোঁটে লিপলাইনার লাগিয়ে ন্যুড লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। সাজটাই অন্য রকম হয়ে যাবে। চুলটা আগে থেকে খুব ভাল করে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং করে রাখতে হবে। যদি কোমর ছাপানো লম্বা চুল হয়, তা হলে আর কিছুর দরকারই নেই। চুল খোলা রাখলেই মোহময়ী দেখাবে। তবে চুল যদি রুক্ষ হয়ে যাতে, তা হলে ভাল করে আঁচড়ে সিরাম লাগিয়ে নিন। যেমন পোশাক পরছেন তার সঙ্গে মানানসই দুল আর নেকপিস পরে নিলেই সাজ সম্পূর্ণ। বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানবাড়ির আসর জমাতে আর কী চাই!