বাহারি কাপড়ের গয়নায় কেমন করে সাজবেন। ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টি নামলেও গরম কমছে না। তাই বলে তো আর সাজগোজে ইস্তফা দিলে চলবে না! তাড়াহুড়ো করে অফিসে যাওয়ার সময়ে অথবা ঘরোয়া সান্ধ্য আড্ডায় ছিমছাম পোশাকের সঙ্গে যদি ভারী ধাতুর গয়না পরতে ইচ্ছে না হয়, তা হলে বেছে নিন বাহারি কাপড়ের গয়নাই। সুচ-সুতোয় নকশা তোলা এমব্রয়ডারি স্টিচ, ক্রস স্টিচ, বোতাম স্টিচ বা চেন সেলাই দেওয়া হরেক রকম নকশার গয়নারই কদর বাড়ছে। চটজলদি পরে নেওয়া যায়, দেখতেও বেশ জমকালো। হালকা সুতির পোশাকের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে যায়। আবার আরামের সঙ্গেও আপস করতে হয় না।
আপনি যেমনই সাজুন না কেন, সাদাসিধে বা জমকালো, কাপড়ের গয়না যে কোনও সাজের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে পরার দরকারও নেই। গলায় যদি ভারী নকশা করা কাপড়ের গয়না পরেন, তা হলে কানে ছোট দুলই বেছে নিন। হাতে গলিয়ে নিন কাপড়ের তৈরি কয়েক গাছা চুড়ি।
তাঁত, সিল্ক বা হ্যান্ডলুম শাড়ির সঙ্গেই ভাল মানায় কাপড়ের গয়না। তবে কাপড়ের গয়না পরার ক্ষেত্রে রং, ধরন বাছাই করা খুব জরুরি। কেমন পোশাক পরছেন তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। সিল্ক বা হ্যান্ডলুমের সঙ্গে গলায় ভারী কাজের কাপড়ের নেকপিস পরলেই সাজ অন্য রকম হয়ে যায়। চেহারাতেও ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। যদি একরঙা শাড়ি পরেন, তা হলে কাপড়ের চুড়ির ওপর কড়ি, পুঁতি ইত্যাদি বসানো বেশ কয়েকটি চুড়ি পরা যেতে পারে।
একরঙা তাঁতের শাড়ি পরলে সঙ্গে গলায় একটি লম্বা কাপড়ের নেকলেস দেখতে বেশ লাগবে। সে ক্ষেত্রে কানে হালকা ছোট দুল এবং দুই হাতে অল্প কয়েকটি চুড়ি গলিয়ে নিন। ছিমছাম মেকআপে যে কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে আপনিই হয়ে উঠবেন মধ্যমণি।
তবে কাপড়ের গয়না যদি পরতেই হয়, তা হলে বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। না হলে তাড়াতাড়ি সুতো উঠে যাবে, রঙ ফিকে হয়ে আসবে বা ময়লা পড়ে যাবে। মনে রাখবেন, কাপড়ের গয়নার উপরে কোনও সুগন্ধি লাগাবেন না। আগে সুগন্ধি মেখে তার পর গয়না গলিয়ে নিন। না হলে গয়নায় দাগ পড়ে যাবে। ভারী ধাতুর গয়নার উপরে কাপড়ের গয়না রাখবেন না। বরং কাপড়ের গয়না রাখার আলাদা বাক্স করুন। কাপড়ের গয়না খুলে রাখার পরে তা পাখার হাওয়ায় শুকিয়ে তবেই বাক্সে তুলে রাখবেন। কাপড়ের গয়না ময়লা হলে আবার সাবান দিয়ে ধুতে যাবেন না, তা হলে বেশি দিন টিকবেই না।