ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে, অন্ত্র ভাল রাখতে এই পানীয় দিয়ে দিন শুরু করেন অনেকেই। নিয়মিত খেলে হজমের গোলমাল রুখে দেওয়া যায়। তবে এই মিশ্রণটি যে ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ব্রণের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে লেবু-মধুর মিশ্রণ দারুণ কাজের।
ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে মধু। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখাও মধুর কাজ। আবার, লেবুতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। তৈলাক্ত ত্বক থেকে তেল, ধুলোময়লা টেনে বার করে এই উপাদান। ত্বকে অবাঞ্ছিত দাগছোপ দূর করতেও লেবুর রস মাখা যায়।
লেবু-মধুর মিশ্রণ কোন ত্বকে কেমন ভাবে কাজ করে?
১) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য:
তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদিত হবেই। তা বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মধু, লেবুর ফেসপ্যাক।
২) ব্রণের প্রবণতা কমায়:
ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রে জমা তেল বা সেবাম পরিষ্কার করতে সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন বার এক্সফোলিয়েট করা প্রয়োজন। দোকান থেকে কেনা এক্সফোলিয়েটরের বদলে মধু-লেবুর মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) দাগছোপের জন্য:
ত্বক থেকে অবাঞ্ছিত দাগছোপ তুলতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে লেবু-মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করা যায়। ধৈর্য রাখতে পারলে ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে যাবে।
কারা মধু-লেবুর মিশ্রণ মাখতে পারবেন না?
১) যাঁদের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক বা স্পর্শকাতর, তাঁরা মধু-লেবুর মিশ্রণ মাখবেন না। ত্বকের অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সেবাম উৎপাদনের হার কমে যেতে পারে।
২) মধু এমনিতে নিরাপদ। তবে মৌমাছিজাত কোনও জিনিসে যদি অ্যালার্জি থাকে, তা হলে মধু মাখা চলবে না। মুখে র্যাশ বেরোতে পারে।
৩) লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কাটাতে সাহায্য করে এই অ্যাসিড। অন্য দিকে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।