বেশি ঘুমোনো খারাপ? ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ওজন কমানো— সব কিছুরই সমাধান লুকিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমে। শরীর ভাল রাখতে যে ঘুমের প্রয়োজন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু তো শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। চিকিৎসকেরা বলেন, বয়স এবং শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী কমবেশি ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তাই বলে কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমোনো মোটেই ভাল নয়। লন্ডনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমোলে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমোচ্ছেন কি না, তা বুঝবেন কী করে, জানাচ্ছে সেই গবেষণার রিপোর্ট।
বেশি ঘুমোচ্ছেন কি না, বুঝবেন কী করে?
১) রাতে সেই যে খাওয়াদাওয়া করে শুচ্ছেন, ৯ ঘণ্টার আগে চোখ খুলছে না। ঘুম থেকে ওঠার পরেও আলস্য কাটতে চায় না। এটি কিন্তু বেশি ঘুমের লক্ষণ হতে পারে।
২) রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তবু সকাল সকাল ঘুম ভাঙতে চায় না। অতিরিক্ত ঘুমোলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমোনো প্রয়োজন। কিন্তু তারও একটা সীমা থাকা দরকার।
৩) পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও শক্তির অভাব থেকে যাচ্ছে। কোনও কাজেই মন বসছে না, চোখ ভারী হয়ে আসছে। এটিও কিন্তু বেশি ঘুমোনোর লক্ষণ।
৪) মাইগ্রেন হয়নি। মাথাব্যথা হওয়ার তেমন কোনও কারণ নেই। অথচ, সারা দিন ধরে মাথাভার, মাথা যন্ত্রণা হয়েই চলেছে। গরম চা, কফি— কোনও কিছুতেই তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। বেশি ঘুমোনো কিন্তু এই ধরনের মাথাব্যথার কারণ হতেই পারে।