অধরা ‘ঠোঁটের’ মাধুরী ফিরবে কী করে? ছবি- সংগৃহীত
বাইরে বেরোনোর সময়ে না হয় ঠোঁটের কালচে ছোপ ঢাকতে লিপস্টিক মেখে নিলেন। কিন্তু চার দেওয়ালের মধ্যে লিপস্টিকের পরত উঠতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। কারণ কালচে ঠোঁট। খুব একটা যে ধূমপান করেন তেমনটা তো নয়। তা হলে সমস্যা কোথায়?
চিকিৎসকদের মতে, শুধু যে দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করলেই ঠোঁটের রং বদলে যায়, তেমনটা কিন্তু নয়। তার জন্য শারীরিক কিছু সমস্যাও দায়ী। আবার জিনগত কারণেই কিন্তু ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়তে পারে। এই দাগ তোলার নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ না থাকলেও ঘরোয়া কিছু জিনিস আছে, যা নিয়মিত ব্যবহার করলে কিন্তু ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হতে পারে।
ঘরোয়া এমন কোন কোন জিনিস দিয়ে ঠোঁটের দাগ তুলতে পারেন?
১) লেবুর রস
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গরম জলে লেবুর রস খান তো? লেবু কচলে হাতে যেটুকু রস লেগে থাকে, ওইটুকুই ঠোঁটে মেখে নিন, তাতেই কাজ হবে। তবে মিনিট পনেরোর বেশি রাখবেন না। তাড়াতাড়ি উপকার পেতে গেলে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এই টোটকা।
২) চিনির স্ক্রাব
হাতের কাছে মধু আছে? না থাকলেও অসুবিধা নেই। বাড়িতে যে কোনও প্রকারের তেল তো থাকবেই। এক চামচ মধু কিংবা তেলের মধ্যে চিনি গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ঠোঁটে মেখে হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। শীতের শেষে ঠোঁট থেকে মরা চামড়া ওঠার সমস্যা থাকলে এই টোটকায় কাজ হবে।
৩) বিটের রস
কালো ঠোঁট ভাল হবে বিটের রসে। অল্প পরিমাণে বিট কুরিয়ে সেখান থেকে রস বার করে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তুলোয় করে ঠোঁটে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন।
৪) শসার রস
একই ভাবে শসা কুরিয়ে রস বের করে ঠোঁটে মেখে রাখুন। কিন্তু সারা রাত রেখে দেবেন না। মিনিট ১০ রেখেই ধুয়ে ফেলতে হবে। ঠোঁট খুব স্পর্শকাতর, বেশি ক্ষণ শসার রস মেখে রাখলে অস্বস্তি হতে পারে।
৫) কাঠবাদামের তেল
ভিটামিন ই-এর গুণে সমৃদ্ধ কাঠবাদামের তেল ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভাল মানের কাঠবাদামের তেল নিয়মিত ঠোঁটে মাখার অভ্যাস করুন।