দই দিয়ে রূপচর্চা কেন করবেন? ছবি- সংগৃহীত
মুখে টক দই মাখার চল বহুদিনের। আগে তো ঘন ঘন সালোঁয় গিয়ে রূপচর্চা করার চল ছিল না। তাই ঠাকুরমা, দিদিমারা ভরসা করতেন ঘরোয়া কিছু জিনিসের উপরই। ঘরোয়া উপাদানের মধ্যে দই অন্যতম। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ থেকে দই তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়ায় কিছু ‘ভাল’ ব্যাকটেরিয়া দইয়ে তৈরি হয় যা শরীরের জন্য তো বটেই, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও আদর্শ। শুষ্ক ত্বক, রোদে পোড়া ত্বক, মুখের ব্রণ সব সমস্যার এক মাত্র সমাধান দই। এ ছাড়া দই আর কী কী উপকারে লাগে জানেন?
১) ত্বকে র্যাশ বেরোনোর ভয় নেই
স্পর্শকাতর ত্বকের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা হল কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করতে না পারা। তার মধ্যে যদি সেই প্রসাধনী হয় রাসায়নিক নির্ভর, সে ক্ষেত্রে ত্বকে জ্বালা বা র্যাশের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু দই মাখলে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
২) ব্যাকটেরিয়া প্রকোপ কমায়
মুখে দই মাখলে ত্বকে স্বাভাবিক ভাবেই ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড’ নামক যৌগের উৎপাদন বেড়ে যায়। এই যৌগটি মুখে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে দিতে পারে। অতএব তৈলাক্ত ত্বকেও কিন্তু দই মাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
৩) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে গেলে মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হয়। কিন্তু তা-ও কিছু ক্ষণ পরই আবার যে কে সেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ময়েশ্চারাইজার মেখে ত্বক পেলব করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা। দইয়ে থাকা ‘প্রোবায়োটিক’ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৪) ত্বকের জেল্লা ফেরায়
অফিস থেকে ফিরে বিয়ে বাড়ি যেতে হবে। কিন্তু এমন নিষ্প্রাণ ত্বক নিয়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে? চিন্তা নেই ১০ মিনিটে ত্বক জেল্লা ফিরিয়ে আনতে কোনও নামীদামি প্রসাধনী নয়, ভরসা রাখুন দইয়ের উপর।
৫) ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে
দইয়ে রয়েছে ‘ল্যাকটিক অ্যাসিড’ যা ত্বকে দাগ, ছোপ, বলিরেখার সমস্যা দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। তাই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার আগেই প্রতিদিন মুখে দই মাখতে শুরু করুন।