WAQF Amendment Law

সরকার চাইলে বিধানসভায় আলোচনা হতে পারে ওয়াকফ আইন নিয়ে, জানালেন স্পিকার বিমান

সোমবার বিধানসভায় সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ওয়াকফ বিল এবং রাজ্য জুড়ে চলা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ এবং সংর্ঘষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৩
Share:
If the government wants, the Waqf Act can be discussed in the Assembly, says Speaker Biman Banerjee

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইলে বিধানসভায় সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এমনকি, ওই আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাবও পাশ করানো যেতে পারে। এমনটাই জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ওয়াকফ বিল এবং রাজ্য জুড়ে চলা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ এবং সংর্ঘষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে বিমান বলেন, ‘‘বিধানসভায় যদি কোনও প্রস্তাব আসে, তা হলে বিধানসভায় তা আলোচনা হতে পারে। আমরা যেমন সংবিধান দিবস পালন করে তার উপর আলোচনা করেছি। তাই বিধানসভায় সরকারপক্ষ যদি কোনও প্রস্তাব আনতে চায়, আলোচনা হতে পারে।’’ প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বিল সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পর রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে বিধানসভায় ওয়াকফ আইন বিরোধী প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী আবার মমতার কাছে চিঠি পাঠিয়ে বিধানসভায় ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার দাবি করেছেন। তবে এমন দুই দাবি প্রসঙ্গে পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই।

উল্লেখ্য, ওয়াকফ বিল সংসদের দু’কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষেই এখন আর এই তৈরি আইনের পরিবর্তনে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। তবে রাজ্য সরকারগুলি চাইলে তা নিজ রাজ্যে কার্যকর না-ও করতে পারে। সঙ্গে সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনে তা রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠাতে পারে। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এ রাজ্যে সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না।

Advertisement

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হস্তক্ষেপ’, সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে এবং বিরোধী রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি অপব্যবহারের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement