তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার। ছবি:সংগৃহীত।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা শেষ হওয়ার নয়। ব্রণ, র্যাশ, ফুসকুড়ি লেগেই রয়েছে। সারা বছরই কিছু না কিছু সমস্যায় নাজেহাল থাকতেই হয়। এ ধরনের সমস্যার সহজ সমাধানও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তৈলাক্ত ত্বক যত্নে রাখা সহজ নয়। বিশেষ করে ত্বক যদি আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে, তা হলে সমস্যা বাড়তেই থাকে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ারের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেনও। তবে সেগুলি বাজারচলতি। তৈলাক্ত ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতরও হয়। ফলে ইচ্ছামতো সব প্রসাধনী ব্যবহার করা যায় না। বাজারচলতি ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেও আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ময়েশ্চারাইজ়ার। ঘরোয়া উপায়ে বানানো প্রসাধনী ত্বকের কোনও সমস্যার কারণ হবে না।
গোলাপ ফুলের পাপড়ি
প্রথমে একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ গোলাপজল ও গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। বানিয়ে রাখা মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে দু’টেবিল চামচ অ্যালো ভেরার জেল মিশিয়ে নিন। তার পর কাচের পাত্রে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ১৫-২০ দিন পর্যন্ত এ ময়েশ্চারাইজ়ার ভাল থাকবে। ময়েশ্চারাইজ়ারটি ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে কাজ করবে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও কমে যাবে।
দুধ এবং অলিভ অয়েল
অল্প দুধ, লেবুর রস, দু’টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এই ময়েশ্চারাইজারে থাকা দুধ ত্বক কোমল করবে ও অলিভ অয়েল ত্বকের পিএইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। লেবুর রস ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ময়েশ্চারাইজ়ার দারুণ উপকারী।
টি ট্রি অয়েল
ত্বকের যত্নে টি ট্রি অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। এই তেলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে। ব্রণর ঝুঁকি কমায়। ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবেও দারুণ কার্যকর টি ট্রি অয়েল। তবে এই তেল সরাসরি ত্বকে না মেখে টি ট্রি অয়েল দিয়ে কোনও ফেস প্যাক বানিয়ে মাখতে পারেন। বেশি উপকার পাবেন।