বর্ষায় চুলের যত্ন নেবেন কী ভাবে?
চুলের সমস্যা যেন বর্ষায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। একে তো বৃষ্টি ভিজে চুল স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। তার উপর বৃষ্টি না হওয়ার দিনগুলিতেও ভ্যাপসা গরমে ঘামে ভেজে চুল। জলীয় আবহাওয়ার কারণে চুল তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়।
শত ব্যস্ততার মাঝে নিয়ম মেনে সালোঁয় চুলের পরিচর্যা করার সময় পান না অনেকেই। তবে এই মরসুমে চুলের প্রতি নজর না দিলে বারোটা বাজবেই। তবে চুলের পরিচর্যায় রাসায়নিকের ব্যবহার না করাই শ্রেয়। খুব সহজলভ্য উপাদান দিয়ে এই ঘরোয়া উপায়গুলির শরণ নেওয়া যায়। বর্ষায় চুল ভাল রাখতে এই ঘরোয়া প্যাকগুলি সপ্তাহে দু’-তিন বার ব্যবহার করুন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।
অ্যালো ভেরা: অ্যালো ভেরা পাতা চিরে তার শাঁসটা বার করে নিন। বাজারেও অনেক রকম অ্যালো ভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়। তবে সেখানেও রাসায়নিকের উপস্থিতি থাকে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে জেল হাতে এলে সেটিই ব্যবহার করুন। চুল ও মাথার ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করতে অ্যালো ভেরা অত্যন্ত কার্যকর। তবে অনেকের এই শাঁস ত্বকে সহ্য হয় না। তাঁরা জলে ফুটিয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন। চুলের আগা থেকে গোড়া এই শাঁস লাগান ও মাথার ত্বকে আঙুলের সাহায্যে মালিশ করুন। প্যাকটি লাগিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে তার পর শ্যাম্পু করে নিন।
দই-মধু-মেথি: জলে সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। তার পর তা ব্লেন্ডারে পিষে তার সঙ্গে টক দই ও মধু মিশিয়ে নিন। স্নানের আগে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
নিম জল: নিমপাতা ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে ফুরিয়ে যাওয়া শ্যাম্পুর বোতলে ভরে রাখুন। সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের পর এই জল দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। চুল পড়বে কম। সঙ্গে জেল্লাও বাড়বে।
দই, মধু, লেবুর রস: এক চামচ দই, এক চামচ মধু ও একটি লেবুর রসের মিশ্রণ চুলে মাখিয়ে নিন স্নানের আগে। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার দিতে ভুলবেন না। বর্ষায় চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে এই প্যাক ব্যবহারের ফলে।