ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৪০ পেরিয়েছে। তা বলে কি তারুণ্য হাতছাড়া হবে! বয়স ধরে রাখার চাবি কোলাজেনের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই!
কোলাজেন আদতে কী?
ত্বকের বয়স বাড়তে না দিয়ে তারুণ্য ধরে রাখে কোলাজেন। ইদানীং তাই সর্বত্র কোলাজেনের জয়জয়কার। সকলেই চান কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে তরুণ হতে। তার জন্য কৃত্রিম উপায়ে কোলাজেন বৃদ্ধির ওষুধ খেতেও দ্বিধা করেন না। কিন্তু যেকোনও কৃত্রিম বিকল্পের থেকে সবসময়েই প্রাকৃতিক উপায় কম ক্ষতিকর এবং দীর্ঘমেয়াদে উপকারীও। কোলাজেন বৃদ্ধির সহায়ক তেমনই এক প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে একটি পানীয়। স্বাস্থ্যবিদদের একাংশ বলছেন, সকালে নিয়মিত ওই পানীয় সেবন করলে শরীরের নানা উপকারের পাশাপাশি কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে।
কোলাজেন হল এক ধরনের প্রোটিন। যা মানবদেহে ত্বক, কার্টিলেজ, হাড়, পেশি, চোখের কর্নিয়া, এমনকি, পরিপাক তন্ত্রেও থাকে। শরীরে প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হওয়া ওই প্রোটিনের উৎপাদন বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। যার ফলে শারীরিক ক্ষমতা কমতে থাকে। কমে ত্বকের স্বভাবিক ঔজ্জ্বল্যও। তবে এ ছাড়াও সময়ের আগে শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন কমতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব হলে। তখন অল্প বয়সেই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। ত্বক নির্জীব দেখায়।
বিকল্প উপায়ে কোলাজেন বৃদ্ধি
কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে ফেরা জরুরি। তবে অনেকে কৃত্রিম উপায়ের শরণাপন্নও হন। বাজারচলতি অ্যান্টি এজিং ক্রিম, কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিশারদেরা বলছেন, অধিকাংশ বাজারচলতি প্রসাধনী যতটা প্রতিশ্রুতি দেয়, ততখানি পালন করে না।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোলাজেন উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে জরুরি হল ভিটামিন সি। ভিটামিন ই-ও কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যেকোনও খাবার, যাতে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই রয়েছে, তা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া যেকোনও মাংসের হাড়ের স্যুপ, ডিম, বেরি জাতীয় ফল, সবুজ শাক-পাতা, রঙিন সবজি, টক স্বাদের ফল, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম এবং দানা শস্যও কোলাজেন উৎপাজনে সহায়ক।
কোলাজেন বর্ধক পানীয়
কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়ক একটি পানীয় নিয়মিত পান করে উপকার পেয়েছেন অনেকেই। ওই পানীয় তৈরি করতে প্রয়োজন বিট, গাজর এবং আমলকি। বিট ভাল করে ধুয়ে টুকরো করে কেটে প্রথমে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পরে তাতে দিন গাজর এবং আমলকি। প্রয়োজনে তাতে সামান্য জল মেশাতে পারেন। যে পানীয় তৈরি হবে সেটি সকালে প্রাতঃরাশের আগে পান করতে পারেন।
কী ভাবে সাহায্য করবে
আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এ ছাড়া বিটকে বলা হয় সুপারফুড। এতে রয়েছে বিটালাইন। যা ত্বককে দূষণমুক্ত করে ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যা থেকে দূরে রাখে। গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ। যা ত্বককে সজীব রাখতে সহায়ক।