চুলের সাজেই চুল বাঁচবে রং থেকে। ছবি- সংগৃহীত
ছোট থেকেই রং খেলার আগে গুরুজনেরা সারা গায়ে আর মাথার চুলে ভাল করে তেল মাখিয়ে দিতেন। কিন্তু সে তো ছোটবেলায়। তখন তো আর রং খেলে নানা রকম ছবি সমাজমাধ্যমে দেওয়ার চল ছিল না। রং মেখেও কে কতটা সুন্দর করে পোশাক বা চুলের সাজ ধরে রাখতে পেরেছে, তা দেখানোরও চল ছিল না। কিন্তু এখন রং খেলার চেয়ে এই বিষয়গুলিই প্রধান হয়ে উঠেছে। তাই তেল মাখতে নারাজ তরুণ প্রজন্ম। সে ক্ষেত্রে চুলের ক্ষতি এড়িয়ে রং খেলার আদৌ কোনও উপায় আছে কি?
কেশসজ্জা বিশেষজ্ঞদের মতে, খোলা চুলে রং খেললে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই দোলের রং লাগার আগে চুল বেঁধে নেওয়াই ভাল। তাই ফ্যাশনও হবে আবার চুলও বাঁচবে তেমন পাঁচটি সাজের সন্ধান রইল এখানে।
কেমন ভাবে চুল বাঁধলে দেখতে সুন্দর লাগবে, আবার চুলের ক্ষতিও হবে না?
১) আলগা বেণী
তেল দিয়ে টেনে চুল না বেঁধে আলগা করে বেণী করে রাখুন। দেখতেও ভাল লাগবে আবার রং বেশি গভীরেও যেতে পারবে না। পোশাকের সঙ্গে মানানসই কাপড়ের ফিতে বা চুলের গয়নাও বেণীতে জড়িয়ে নিতে পারেন।
২) আলগা হাতখোপা
পিঠের মাঝামাঝি বা কোমর পর্যন্ত চুল হলে আবার বেণী নয়, আলগা একটা হাতখোপা করে রাখুন। মাথার ত্বকে রং বসতে পারবে না। ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবে চুল রুক্ষও হবে না। চাইলে মাথার মাঝখানে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে রঙিন রুমালও বেঁধে রাখতে পারেন।
দোলের সাজে সঙ্গী হোক ‘মিল্কমেড’ বেণী। ছবি- সংগৃহীত
৩) মাথার দু’পাশ থেকে বেণী করে হাত খোপা
মাথার দু’পাশের লক্সগুলি বেড়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে খোলাও রাখা যাচ্ছে না, আবার বাঁধলেও থাকছে না। চিন্তা নেই দুপাশ থেকে বেণী করে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। তার পর আলগা হাত খোপা করে রাখুন।
৪) উঁচু করে ‘টপনট’
তাড়াহুড়োতে যদি এত চুলের কায়দা করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে একেবারেই সহজ একটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে উঁচু করে বেঁধে রাখা। যাকে আমরা ‘টপনট’ বলে থাকি।
৫) ‘মিল্কমেড’ বেণী
মাঝে বা একপাশে সিথি করে, সেখান থেকে অল্প কিছু চুল নিয়ে বেণী করতে করতে সাগরচটি বেণীর মতো বাকি চুল বেণীর মধ্যে ঢুকিয়ে নিন। তার পর তলার দিকের লম্বা অংশটি হালকা করে গুটিয়ে নিয়ে কাঁটা কিংবা ক্লিপের সাহায্যে আটকে রাখুন। দেখতে একদম নায়িকাদের মতোই লাগবে। আবার রঙের হাত থেকেও চুল বাঁচবে।