চুলের জন্য কতটা উপকারী দুধ? কী ভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
দুধ দিয়ে চুলের পরিচর্যা? কোমর ছাপানো একঢাল চুল চাইলে বাজারচলতি প্রসাধনী নয়, বরং কাজে আসতে পারে দুধই! শ্যাম্পু করার পর চুলে যে রুক্ষ ভাব আসে, তা দূর করতে বাজারচলতি কন্ডিশনারের চেয়ে অনেক বেশি ভাল কাজ করে দুধ। অবাক হচ্ছেন তো! দুধ দিয়ে চুল ধুলে যেমন মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, তেমনই চুল হয় রেশমের মতো নরম ও জেল্লাদার। দুধের প্রোটিন ও ফ্যাট চুলের গোড়ায় পুষ্টিও জোগায়। ফলে চুল পড়ার সমস্যাও কমে যায়।
চুলের জন্য কতটা উপকারী দুধ?
দুধ তো সুষম খাবার, খেলে শরীরের পুষ্টি হয়। অনেকেই জানেন না, দুধ চুলে মাখলে চুলেরও স্বাস্থ্য ভাল হয়। দুধে প্রোটিন, ফ্যাট ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ৭ ও পটাশিয়াম চুল নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। দুধে আছে ক্যাসেইন প্রোটিন, যা চুল ঘন ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
‘পাবমেড জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য বলছে, নিয়মিত দুধ ব্যবহারে খুশকির সমস্যা নির্মূল হতে পারে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে মাথার ত্বকের স্বাভাবিক প্রোটিনের মাত্রা কমে যায়। চুল অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে পড়ে, ডগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। দুধ ব্যবহার করলে এই সব সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যাবে। কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে দুধ, তাই এর ব্যবহারে চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধি দুই-ই হবে।
কী ভাবে চুলে দুধ মাখবেন?
১) শ্যাম্পু করার পরে ভিজে চুলই ভাল করে দুধ দিয়ে ধুয়ে নিন। মিনিট দশেক অপেক্ষা করে পরিষ্কার জলে চুল ধুয়ে নিন। দুধ দিয়ে ধোয়া চুল রোদেই শুকিয়ে নেবেন। ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভাল।
২) এক কাপ দুধের সঙ্গে একটি ডিম মিশিয়ে সেই প্যাক চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর স্নান করে নিন।
৩) এক কাপ দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়েও চুলে মাখতে পারেন। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিন। এই প্যাক সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলেই চুলের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।
৪)চুল খুব বেশি রুক্ষ ও খসখসে হয়ে গেলে, এক কাপ দুধে একটি কলা চটকে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখুন। তার পর চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করে দেখুন। তবে এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে খুব হালকা শ্যাম্পু দিয়েই চুল ধুতে হবে। সালফেট ছাড়া শ্যাম্পু হলেই বেশি ভাল হয়।