Skin Therapy

সুচ ফুটিয়ে ত্বকে ঢোকানো হয় ভিটামিন, চকচকে ত্বক পেতে লেজ়ার ছাড়া আর কী থেরাপি করান তারকারা?

তারকারা কেবল লেজ়ার থেরাপিই করান না, যৌবনের জেল্লা ধরে রাখতে ও বলিরেখাহীন মসৃণ, চকচকে ত্বক পেতে আরও নানা ধরনের থেরাপিই করান। এমন তিনটি থেরাপির বিষয়ে জেনে নিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩২
Share:

যন্ত্রণাহীন থেরাপিতে ত্বক থাকে যৌবনের মতো টান টান ও মসৃণ। ছবি: ফ্রিপিক।

রোমহীন, মসৃণ, চকচকে ত্বক পেতে এখন লেজ়ার থেরাপি করানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কমবয়সিরা তো বটেই, মধ্যবয়সিরাও পিছিয়ে নেই এই তালিকায়। এমনকি, পুরুষেরাও করাতে চাইছেন সেই সব থেরাপি। কাটাছেঁড়া, ব্যথা-বেদনা ছাড়াই যদি হরেক সমস্যা মেটানো যায়, তা হলে ক্ষতি কী! তবে তারকারা কিন্তু কেবল লেজ়ার থেরাপিই করান না, যৌবনের জেল্লা ধরে রাখতে ও বলিরেখাহীন মসৃণ, চকচকে ত্বক পেতে আরও নানা ধরনের থেরাপিই করান। ব্রণ-ফুস্কুড়ি, মুখে দাগছোপ, ক্ষতের দাগ থেকে জন্মদাগ— ত্বকের যে কোনও সমস্যারই সমাধান হয় তাতে।

Advertisement

বায়ো রিমডেলিং থেরাপি

ত্বকের কাটাছেঁড়া বা কোনও রকম অস্ত্রোপচার নয়, সুচ ফুটিয়ে ত্বকের নানা জায়গায় সামান্য পরিমাণে হায়ালুরনিক অ্যাসিড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ত্বকের যে জায়গায় বলিরেখা পড়েছে, দাগছোপ রয়েছে অথবা কোনও ক্ষত তৈরি হয়েছে, সেখানকার ত্বকের কোষ পুনর্গঠনের জন্যই এই থেরাপি করা হয়।

Advertisement

হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং তারুণ্য ধরে রাখে। শুষ্ক, নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। পাশাপাশি, ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ মুছতে তাই এই থেরাপি করান অনেকেই। ৪ থেকে ৬ মাস অন্তর ইঞ্জেকশন নিতে হয় ত্বকে। তবে এর স্থায়িত্ব ১ বছর। ভারতে এই থেরাপির এক একটি সেশনের জন্য খরচ পড়ে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

মেসোথেরাপি

ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে ও ক্লান্তির ছাপ মুছতে মেসোথেরাপি করান অনেক বলিউড তারকাই। এই থেরাপির কাজ হল শুষ্ক ত্বককে জেল্লাদার করে তোলা। তারকাদের ভারী মেকআপ করে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। ফলে এর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ত্বকে। ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা তো হয়ই, ত্বকে কালচে ভাব এসে যায় ধীরে ধীরে। তখন মেকআপ না করলে ত্বক নিষ্প্রাণ মনে হয়। এই সমস্যা দূর করতেই মেসোথেরাপি করা হয়। এ ক্ষেত্রে মুখে, গলায় ঘাড়ে ও হাতের ত্বকে ভিটামিন, নানা খনিজ উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড ইনজেক্ট করা হয়। এই পদ্ধতিতে ত্বকে কোলাজেন তৈরি হয় খুব তাড়াতাড়ি।

৩-৬ মাস অন্তর ইঞ্জেকশন নিতে হয়। এর স্থায়িত্ব ১২-১৮ মাসের মতো। মেসোথেরাপি করালে ত্বকে তৈলাক্ত কোনও ক্রিম বা অ্যালকোহল যুক্ত কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। এই থেরাপির এক একটি সেশনের খরচ ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো।

হাইড্রোস্ট্রেচ থেরাপি

বায়ো রিমডেলিং-এর মতোই এই থেরাপিতে ত্বকে হায়ালুরনিক অ্যাসিড ইনজেক্ট করা হয়। ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে বার্ধক্যের ছাপ মুছতেই এই থেরাপি করানো হয়। বয়স হলে মুখ ও গলার চামড়া কুঁচকে যায়। বলিরেখা পড়তে শুরু করে। এই থেরাপি করালে কুঁচকে যাওয়া ত্বক ফের টান টান হয়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়ে। ভিতর থেকে ত্বক সজীব ও জেল্লাদার হয়ে ওঠে। এই থেরাপির খরচ ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ত্বকের কোনও রকম থেরাপি নিজে থেকে করাতে যাওয়া ঠিক হবে না। যে কোনও থেরাপি করালেই অনেক নিয়ম মানতে হয়, না হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অতি অবশ্যই নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement