পেঁয়াজের খোসাতেই চুল পড়া রোধ হবে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিনের মাছের পদে পেঁয়াজ, রসুন না পড়লেও ডিম কিংবা মাংস রাঁধতে গেলে পেঁয়াজ চাই। রূপচর্চাতেও পেঁয়াজের রস কাজে লাগে। তাই পেঁয়াজ কাটার পর তার খোসার জায়গা হয় আবর্জনার বালতিতে। শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা সত্যি যে পেঁয়াজের মতোই পেঁয়াজের খোসারও অনেক গুণ রয়েছে। সামনেই তো পুজো। বেহাল চুলের জেল্লা ফেরাতে প্রচুর খরচ করে সালোঁয় না গিয়ে পেঁয়াজের খোসা দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পারেন তেল, সিরাম এবং মাস্ক। যা নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা আনবে এবং অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ার সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে।
পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি তেল অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। ছবি: সংগৃহীত।
১) পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক:
পেঁয়াজের খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। না হলে দোকান থেকে তা কিনেও আনতে পারেন। এ বার খোসার সঙ্গে পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। স্নানের আগে মাথার ত্বকে, চুলে ভাল করে মেখে রাখুন এই মিশ্রণ। ঘণ্টাখানেক রেখে মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২) পেঁয়াজের খোসা ভেজানো জল:
বাজার থেকে কেনা সিরামে রাসায়নিক পদার্থ থাকতেই পারে। তাই বলে চুলের যত্নে সিরাম মাখা বন্ধ থাকবে কেন? বাড়িতে সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন এই প্রসাধনীটি। একটি পাত্রে জল এবং পেঁয়াজের খোসা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। জল কিছুটা ঠান্ডা হলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে ওই জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। তার পর হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩) পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি তেল:
নারকেল তেল এবং রোদে শুকনো করে রাখা পেঁয়াজের খোসা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার হালকা আঁচে তেল গরম হতে দিন। কিন্তু ফোটানোর প্রয়োজন নেই। তার পর একটু ঠান্ডা হলে মাথার ত্বকে মেখে ফেলুন। আধঘণ্টা রেখে মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।