বিয়ের জন্য কতটা ডায়েট করলেন পরিণীতি? ছবি: সংগৃহীত।
রাত পোহালেই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন পরিণীতি চোপড়া এবং রাঘচ চড্ডা। রবিবার, দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন নায়িকা। উদয়পুরের বিলাসবহুল রিসর্টে বসতে চলেছে বিয়ের আসর। শুক্রবার সকালেই হবু বর-কনে একসঙ্গে উড়ে গিয়েছেন উদয়পুরে। লাল জাম্পস্যুট আর কালো রোদ চশমায় সেজে হবু কনে যখন উদয়পুর বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন, নায়িকার চোখমুখে তখন খুশির ছোঁয়া। বিয়ের দিন কোন রঙের পোশাক পরবেন তিনি, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিয়ের আগে লাল পোশাকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল তাঁকে। পরিণীতি এমনি ঝলমলে, মিষ্টি। তবে বিয়ের জল গায়ে পড়তে যেন আরও লাবণ্যময়ী হয়ে উঠেছেন তিনি।
রাত পোহালেই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন পরিণীতি চোপড়া এবং রাঘচ চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
ভালবাসার মানুষটিকে সারা জীবনের মতো নিজের করে পাওয়ার আনন্দ তো আছেই। তবে বিয়ের আগে এমন ঝলমলে হয়ে ওঠার নেপথ্যে কিন্তু বিশেষ প্রস্তুতিও রয়েছে পরিণীতির। বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই ডায়েটে নজর দিয়েছিলেন তিনি। বাইরের খাবার এমনিতেও খেতেন না। বিয়ের আগে সেই বাইরের খাওয়াদাওয়ায় কঠোর ভাবে রাশ টানেন। যে খাবারগুলি খেয়ে সামান্য হলেও অস্বস্তি বোধ করেন তিনি, সেগুলি ছুঁয়েও দেখতেন না। ডিম এবং দুধ সেই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে। এই খাবারগুলি খেলে হজমের গোলমাল হয় বলে বিয়ের মাস কয়েক আগে থেকেই খাওয়া বন্ধ করেন।
পরিণীতি খেতে ভালবাসেন। তিনি যে খাদ্যরসিক নিজেও সে কথা বহু বার বলেছেন। কিন্তু বিয়ের আগে খাবারের পরিমাণে রাশ টেনেছেন তিনি। পছন্দের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, এমন নয়। তবে পরিমাণে কম খেতেন। সেই সঙ্গে চলত কঠোর শরীরচর্চা। নিয়ম করে জিমে যেতেন তিনি। ব্যস্ততার কারণে জিমে যেতে না পারলেও বাড়িতেই শরীরচর্চা করতেন। ওজন ঝরিয়ে সুন্দর হওয়া নয়, শরীরচর্চা করে ফিট থাকাটা পরিণীতির কাছে বেশি জরুরি। নিজে কখনওই রোগা ছিপছিপে হতে চাননি। ওজন বা়ড়লেও তা চটজলদি ঝরিয়ে ফেলতে হবে, এমনটাও কখনও মনে হয়নি তাঁর। পরিণীতির মতে, চেহারা যেমনই হোক, ভিতর থেকে ফিট থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীবনের বিশেষ দিনে তিনি যাতে ভিতর থেকে চনমনে এবং চাঙ্গা থাকতে পারেন, তারই প্রস্তুতি নিয়েছেন পরিণীতি।