তার গুণের শেষ নেই। তবু কাজ করতে না পারলে ‘ঢেঁড়স’ বলেই উপহাস করা হয়। ‘গুণী’ এই সব্জি খাবার পাতে দেখলে, অনেকেই নাক সিঁটকান। কিন্তু জানেন কি, চুলের পরিচর্যাতেও সবুজ এই সব্জি কতটা কার্যকর।
সকলেই চান, তাঁর চুল সুন্দর দেখাক। পার্লারে গিয়ে চুল ‘স্ট্রেটনিং’ বা ‘স্মুদনিং’, ‘ক্যারাটিন ট্রিটমেন্ট’ করার চলও সে কারণেই বাড়ছে। কিন্তু জানেন কি, ঢেঁড়স দিয়ে তৈরি প্যাকেই ‘স্মুদনিং’-এর মতো সুন্দর লম্বা, কোমল চুল পেতে পারেন।
গুণ
ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি, কে-সহ নানা খনিজ রয়েছে ঢেঁড়সে। পিচ্ছিল এই সব্জি শরীর ভাল রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। একই সঙ্গে ঢেঁড়স ভাল রাখে চুলও।
ঢেঁড়স দিয়ে হেয়ার প্যাক
উপকরণ- তাজা ঢেঁড়স, কর্নফ্লাওয়ার, নারকেল তেল
কী ভাবে করবেন- ঢেঁড়স খুব ভাল করে ধুয়ে নিন। অনেক সময় চাষে রাসায়নিক মিশ্রিত সার ব্যবহার হয়। যা শরীর ও চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
১. ধোয়া ঢেঁড়স ছোট টুকরো করে কেটে একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে ঢেলে দিন। মিনিট ১৫ কম আঁচে ঢেঁড়স ফুটতে দিন। দেখবেন, সব্জিটির পিচ্ছিল পদার্থ জলে মিশে যাবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে মিক্সারে বেটে নিন। তারপর সাদা সুতির কাপড়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন।
২. একটি পাত্রে সামান্য জল নিয়ে এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুলে নিন। ঢেঁড়সের ছেঁকে নেওয়া মিশ্রণে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে আঁচ কমিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যত ক্ষণ মিশ্রণটি ঘন হয়ে ক্রিমে পরিণত না হয়।
৩. মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে তাতে এক চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিলেই প্যাক তৈরি।
কী ভাবে ব্যবহার
পরিষ্কার হালকা ভিজে চুলে মিশ্রণটি আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে মাসাজ করুন। ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রাখুন। চুল সোজা করতে মিনিট ২০ পর মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে হালকা ভাবে আঁচড়ে নিন। তবে কোনও রকম টান যেন চুলে সে সময় না পড়ে, তা দেখতে হবে। মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে খুব ভাল করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চাইলে মৃদু কোনও শ্যাম্পুও করে নিতে পারেন।