ডাবের জল কি সানস্ক্রিনের বিকল্প? ছবি:সংগৃহীত।
গ্রীষ্মে তো বটেই, বর্ষা, শীত এমনকি সারা বছরই সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বকের ট্যান পড়া আটকাতে এর চেয়ে ভাল হাতিয়ার কিছু হতে পারে না। তবে সানস্ক্রিন মানেই তো সেই বাজারচলতি প্রসাধনী। নানা রকম রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে তাতে। সেই উপাদানগুলি আদৌ ত্বকের জন্য উপকারী কি না, তা স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বক হলে তো আরও মুশকিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে বরং সানস্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
লেবুর রস
ভিতর থেকে ফিট থাকতে সাহায্য করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু। তবে শুধু শরীর নয়, ত্বকের যত্নেও এর জুড়ি মেলা ভার। ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা করে ত্বক। সহজে ট্যান পড়তে দেয় না। ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতিতেও লেবুর রসের ভূমিকা অনবদ্য।
গ্রিন টি
ওজন কমাতে গ্রিন টি খান অনেকেই। ছিপছিপে হওয়া ছাড়াও গ্রিন টি খেলে ত্বকও হবে ট্যানমুক্ত। এই চায়ে রয়েছে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিতর থেকে শরীরকে ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাসে সহজে ট্যান পড়তে পারে না ত্বকে।
টোম্যাটো
ট্যান আটকানোর আরও একটি উপায় হল টোম্যাটো। সূর্যের আলো থেকে ত্বকের যে সমস্যাগুলি হয়, তার অধিকাংশের সমাধান লুকিয়ে রয়েছে টোম্যাটোয়। সূর্যালোক থেকে নির্গত ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে টোম্যাটো।
ডাবের জল
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত খেলে শরীর ভাল থাকে তো বটেই, সেই সঙ্গে ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতেও ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। ডাবের জল তো খেলে উপকার তো মেলেই। তবে, মাখলেও ভাল থাকে ত্বক।