চুলের যত্ন নিতে হেনা করা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত শ্যাম্পু করা না কি প্রতি মাসে পনেরো দিন অন্তর স্পা করানো— চুলের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর নেই অনেকের কাছেই। চুল ভাল রাখার শেষ কথা কি স্পা, শ্যাম্পু সে কথাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে নিশ্চিত করে বলা যায় যে কথা, তা হল চুল ভাল রাখতে হেনা করা জরুরি। চুলের যত্নে হেনার গুরুত্ব অপরিসীম। মাসে দু-তিন বার হেনা করতে পারলে আদতে চুলেরই লাভ। অনেকেই তাই চুলের যত্নে এগিয়ে রাখেন হেনাকে। কিন্তু কেন?
চুল ঝরা কমাতে
চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। চুল যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পায়, তখনই সাধারণত এমন সমস্যা বেশি করে দেখা দেয়। বাইরে থেকে চুল চকচকে, মসৃণ হলেও চুলের গোড়া মজবুত আছে কি না, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে হেনা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন হেনা করলেই চুলে ফিরে আসবে পুষ্টি।
খুশকির সমস্যা প্রতিরোধে
শীতকাল, বর্ষাকালে মাথা ভরে যায় তো বটেই। তবে সারা বছর খুশকির সমস্যায় অস্বস্তিতে থাকেন অনেকেই। বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করেও লাভ হয় না কোনও। হেনা কিন্তু খুশকির প্রতিরোধের অস্ত্র হতে পারে। প্রতি দিন হেনা করা সম্ভব নয়। করা ঠিকও নয়। ১৫ দিনে অন্তত দু’বার হেনা করলে ভাল।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
রোজের ধুলো-দূষণে চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায়। চুল কোমল, মসৃণ করতে আমরা কত কিছুই না করি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার— চেষ্টার কোনও খামতি রাখেন না কেউই। এতে হয়তো প্রাথমিক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তা ছাড়া, রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত এই সব প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল সুন্দর ও কোমল রাখতে তাই হেনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।